—ফাইল চিত্র
এক দিকে যখন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পদকজয়ীদের নিয়ে উচ্ছ্বাস, সেই সময় বিনেশ ফোগাটরা অন্ধকারে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে ছিটকে যান ভারতীয় কুস্তিগির। একাধিক অভিযোগের ফলে তিনি আপাতত নির্বাসিত। তবে অবশেষে মুখ খুললেন বিনেশ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিনেশ বলেন, “মনে হচ্ছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঘুমিয়ে আছি। কোনও কিছু শুরুই হয়নি। সব কেমন ফাঁকা। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে আমার জীবনে। গত এক সপ্তাহ ধরে আমার মনের ভিতরে অনেক কিছু চলছে। দুটো ভাগ হয়ে গিয়েছে আমার হৃদয়, আমার মন। এক দিক বলছে কুস্তিকে আমি সব কিছু দিয়ে দিয়েছি, এটাই সঠিক সময় ছেড়ে দেওয়ার। অন্য দিক বলছে, সুযোগ রয়েছে ফিরে আসার। লড়াই ছেড়ে দিলে সেটা খুব বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমার।”
আপাতত কুস্তি নয়, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছেন বিনেশ। তিনি বলেন, “বাইরের জগতের কাছে আমি মৃত। তারা যা খুশি তাই লিখছে। ভারতে যত তাড়াতাড়ি নায়ক হয়ে ওঠা যায়, তত তাড়াতাড়ি নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়। একটা পদক জিততে না পারলেই সব শেষ।”
কুস্তিতে বিনেশের থেকে পদকের আশা ছিল ভারতের। কোয়ার্টার ফাইনালেই হেরে যাওয়ায় সেই আশা পূরণ হয়নি। বিনেশ বলেন, “কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করছে না সে দিন কী হয়েছিল। নিজেদের মতো ভেবে নিয়ে কথা বলছে সবাই। আমি লড়াইটা লড়ছিলাম, কী হয়েছিল আমি জানি। বাইরের লোকে কী বলল তা নিয়ে আমি ভাবি না। কিন্তু তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাকে ভাঙার। অলিম্পিক্সে সবাই চাপে থাকে। কিন্তু আমি জানি কী ভাবে সেই চাপ সামলাতে হয়।”
টোকিয়োর গরমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি ছিলেন বিনেশ। তিনি বলেন, “আমি নিজেকে সব রকম ভাবে তৈরি রেখেছিলাম। ইলেকট্রল খেয়েছিলাম। সল্ট ক্যাপসুল খেয়েছিলাম। ২০১৭ সালে আমার মাথায় লেগেছিল। তারপর থেকে আমি মাঝে মধ্যে ঝাপসা দেখি। মাথায় লাগলে অসুবিধা হয়। তেমনই কিছু হয়েছিল সে দিন। হয়তো রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। হয়তো ওজন কমে গিয়েছিল। আগেও সল্ট ক্যাপসুল নিয়েছি। তবে টোকিয়োতে সেগুলো কাজ করেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy