মহড়া: লর্ডসে দলের অনুশীলনে বোলিং করছেন টিম সাউদি। রয়টার্স
আইপিএল চলাকালীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহালি জানতে পারেন, সতীর্থ কাইল জেমিসনের কাছে ডিউকস বল আছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এই বলেই খেলা হবে। প্রতিপক্ষ জেমিসনের দেশ নিউজ়িল্যান্ড। আরসিবি অধিনায়ক তাই জানতে চান, কাইল কি নেটে ডিউকস বল দিয়ে তাঁকে বল করবেন? সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিলেন জেমিসন। জানিয়ে দেন, ফাইনালের আগে কোনও ভাবেই বিরাটকে জানতে দেবেন না টেস্টে কী রকম লাইন ও লেংথে বল করবেন তিনি।
জেমিসনের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন নিউজ়িল্যান্ড দলের অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি। সোমবার ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমে সাউদি বলেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, এই গল্প একেবারেই মিথ্যে নয়। বিরাটকে ডিউকস বল দিয়ে অনুশীলন না করিয়ে ঠিকই করেছে জেমিসন।’’ যোগ করেন, ‘‘যে কোনও পেসার হলে এটাই করত। বিরাট তখন ওর সতীর্থ হলেও আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে থাকবে প্রতিপক্ষ হিসেবে। তাই আগে থেকে কেন ওকে লাইন এবং লেংথের আন্দাজ পেতে দেব?’’
বিরাট যে ইচ্ছে করে জেমিসনকে ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিলেন, তা ভালই বুঝতে পেরেছেন সাউদি। তাঁর কথায়, ‘‘বিরাট দেখছিল অধিনায়কের অনুরোধে জেমিসন সাড়া দেয় কি না। ভাগ্যিস ও সেই ফাঁদে পা দেয়নি। আগে থেকে লাইন ও লেংথ বুঝিয়ে দিলে আমাদেরই তো ক্ষতি। আইপিএলে খেললেও দেশের কথাটা মাথায় ছিল জেমিসনের। সেটাই সব চেয়ে গর্বের বিষয়।’’
সাউদি ও জেমিসন এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতিতে মগ্ন। তাই আসন্ন আইপিএলে আদৌ মরুদেশে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি জেমিসন। আপাতত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ ও ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।
ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমকে জেমিসন বলেছেন, ‘‘দু’দিন আগে জানতে পারলাম, এ বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো হতে চলেছে। সত্যি বলতে, এখনই সে বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমাদের লক্ষ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতা এবং টেস্ট ফাইনালে ভারতকে হারানো। তার বাইরে কিছুই ভাবতে চাই না।’’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভারত থেকে যে ভাবে মলদ্বীপ উড়ে যেতে পেরেছিলেন তিনি, তার জন্য জেমিসন ধন্যবাদ দিতে চান ভারতীয় বোর্ড ও আরসিবি পরিবারকে। এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যে তাঁদের সমস্ত রকমের সুরক্ষার কথা চিন্তা করা হয়েছে, তাতেই খুশি তিনি। বলেছেন, ‘‘অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারতে। আমরা খুব ভাগ্যবান যে, ভারতীয় বোর্ড ও আরসিবি পরিবার সেই সময় পাশে ছিল। তারাই আমাদের সুরক্ষিত ভাবে মলদ্বীপ পৌঁছে দিয়েছে।’’
জেমিসন মনে করেন, এই পরিস্থিতির মধ্যে আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সঠিক। বলেছেন, ‘‘জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে মানুষের অসহায়তার খবর পেতাম। কী ভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে প্রত্যেককে যেতে হয়েছে, তা-ও জানতাম। তাই আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক। ক্রিকেটারদের সঙ্গে অনেকেরই জীবন জড়িয়ে আছে এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে।’’
নিউজ়িল্যান্ড অলরাউন্ডারের এটাই প্রথম ইংল্যান্ড সফর। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালের আগের দু’টি টেস্টকে কি তারই প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন? জেমিসনের উত্তর, ‘‘একেবারেই না। ফাইনালের কথা এখন থেকে ভাবলে আসন্ন দু’টি টেস্টে ছন্দপতন হতে পারে। আপাতত ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়েই চিন্তা করছি। ফাইনাল নিয়ে পরে ভাবা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy