ছবি: সংগৃহীত।
তিন বছর আগেও তিনি মেয়েদের সিঙ্গলসের ফাইনালে উঠেছিলেন ফরাসি ওপেনে। তবে এ বার পরিস্থিতি একেবারে অন্য। মারিয়া শারাপোভার বিরুদ্ধে তিনি সে বার ছিলেন আন্ডারডগ। কিন্তু এ বার তাঁকেই এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা রোলঁ গ্যারোজে খেতাব জেতার দৌড়ে। শুধু কেরিয়ারের প্রথম খেতাব জেতাই তো নয়, জোড়া মাইলস্টোন গড়ার হাতছানি তাঁর সামনে। কোরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা আর একই সঙ্গে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরের সিংহাসনে বসার সুযোগ। তিনি —সিমোনা হালেপ।
শনিবার অবাছাই জেলেনা অস্টাপেঙ্কোর বিরুদ্ধে তৃতীয় বাছাইয়ের লড়াইয়ে রোমানিয়ার তারকাকে সবচেয়ে বেশি যেটা এগিয়ে রাখছে সেটা হল অভিজ্ঞতা। হালেপ বলে দেন, ‘‘দারুণ লাগল ফাইনালে উঠতে পেরে। একেবারে অন্যরকম অনুভূতি। এ বার মনে হচ্ছে আমার কাছে যেন বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এর আগের বারের তুলনায়। নিশ্চয়ই আমি খুশি। তবে অতটা উত্তেজনা নেই। আসলে কোর্টে নামার তর সইছে না।’’
সেমিফাইনালে তাঁর লড়াইটা খুব কঠিন ছিল। বিশ্বের দু’নম্বর ক্যারোলিনা প্লিসকোভার বিরুদ্ধে তিন সেটের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়েননি। তবে চলতি মরসুমে যে রকম দুর্ধর্ষ ফর্মে আছেন হালেপ তার সামনে প্লিসকোভা টিকতে পারেননি। ম্যাচের পরে তাই হালেপ বলে দিয়েছিলেন, ‘‘ম্যাচটা দারুণ হয়েছে। প্রত্যেকটা পয়েন্টের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। সেটা কোর্টে বারবার মনে হয়েছে। মনে হচ্ছিল আমায় প্রত্যেকটা বলের জন্য লড়তে হবে। তৃতীয় সেটে ঠিক এই জিনিসটাই করতে পেরেছি। নিজের পারফরম্যান্সে তাই আমি খুব খুশি।’’
তবে একটা ব্যাপার তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যতই নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হন না কেন, টুর্নামেন্টে আসল কাজটা এখনও বাকি রয়েছে। এ বার ফরাসি ওপেনে ফাইনালে ওঠার পথে মাত্র দুটো সেট খুইয়েছেন রোমানিয়ার তারকা। এখনও পর্যন্ত এমন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখে কমই পড়তে হয়েছে টুর্নামেন্টে যে তাঁর দুরন্ত ফর্মের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে পেরেছে। কার্লা সুয়ারেজ নাভারোর মতো ক্লে কোর্ট বিশেষজ্ঞকে তিনি দাঁড়াতেই দেননি। এলিনা সোয়াইতোলিনার বিরুদ্ধে তিন সেটের লড়াইয়ে জিতেছেন। সোয়াইতোলিনাকে এ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার ধরা হচ্ছিল। তা ছাড়া রোমে ফাইনালে হালেপকে হারিয়ে সোয়াইতোলিনাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কয়েক দিন আগে। সেই প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে হালেপ জেতেন। এই ম্যাচগুলোতেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে শুধু দুরন্ত ফর্মই নয়, সঙ্গে অসাধারণ মানসিক শক্তিও রয়েছে হালেপের। সঙ্গে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ট্যাকটিক্স বদলানো তো আছেই। প্লিসকোভার বিরুদ্ধেই যেমন। দ্বিতীয় বাছাইকে হারাতে রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিলেন হালেপ। চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড়কে এই স্ট্র্যাটেজিতেই আটকে দেন।
এ বার অস্টাপেঙ্কোর বিরুদ্ধে কী হবে? যাঁকে এ বার ফরাসি ওপেনের সেরা আবিষ্কার বলা হচ্ছে। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম বার অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে ওঠার রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন যিনি। হালেপ বলেন, ‘‘অস্টাপেঙ্কোর বিরুদ্ধে এর আগে আমি কখনও খেলিনি। সেমিফাইনালে ওর ম্যাচটা কিছুটা দেখেছি। আমার ব্যক্তিগত মতামত, সেমিফাইনালে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর মতোই আক্রমণ করবে ও। তবে কিছুই বলা যায় না। আমায় প্রত্যেকটা পয়েন্টের জন্য লড়াই করতে হবে। আমি লড়াইটা করার জন্য তৈরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy