পাশাপাশি: বক্সার মেরি কমের সঙ্গে অনিল কুম্বলে। টুইটার
লন্ডন অলিম্পিক্সে (২০১২) ভারতের প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন মেরি কম। সেই রেকর্ড কখনও ভাঙা যাবে না। দু’বছর পরেই ইঞ্চিয়নে এশিয়ান গেমসে (২০১৪) প্রখম ভারতীয় মহিলা বক্সার হিসেবে সোনা জিতে ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের ফের গর্বিত করেছিলেন তিনি। বক্সিং জগতের কিংবদন্তিকে প্রথম দিনরাতের টেস্ট ম্যাচের সাক্ষী থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সিএবি। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি ফোনেই ইডেনে আসতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন মেরি।
শুক্রবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের প্রথম দিন সাপার ব্রেকের পরে ইডেনের প্রেসিডেন্টস বক্সে প্রবেশ করলেন মণিপুরের সোনার মেয়ে। মেরিকে দেখেই এগিয়ে গেলেন সানিয়া মির্জা। দু’জনের কথোপকথন শোনা না গেলেও, চোখমুখের ভাষায় স্পষ্ট, প্রথম দিনরাতের টেস্টের সাক্ষী হয়ে তাঁরা তৃপ্ত।
প্রেসিডেন্টস বক্সের বাইরে দাঁড়িয়েই আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বললেন মেরি। জানিয়ে দিলেন, ইডেনে এ বারই প্রথম ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা হল। আর প্রথম সাক্ষাতেই তাঁর মনে জায়গা করে নিয়েছে ইডেনের রঙিন পরিবেশ। তিনি বললেন, ‘‘ভারতের ম্যাচ এক বারই দেখেছি। মনে পড়ছে না কোন ম্যাচ। তবে সেটা টেস্ট ছিল না। এই প্রথম টেস্ট ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছে।’’
কী রকম অনুভূতি? মেরির উত্তর, ‘‘অসাধারণ। ভাবতেই পারিনি ইডেনের সমর্থক এতটা উত্তেজক এবং আবেগপ্রবণ। আন্দাজ করেছিলাম বড় কিছুর সাক্ষী হতে চলেছি। কিন্তু এতটা সত্যিই আশা করিনি। কলকাতার মানুষ যে ক্রীড়াপ্রেমী, তা জানতাম। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য তাঁরা যে এতটা উৎসাহী, তা ইডেনে না আসলে জানতে পারতাম না। প্রথম সাক্ষাতেই আমার মন জিতে নিয়েছে ইডেন।’’
মেরির আফসোস একটাই, বক্সিং রিংয়ে যে সমর্থন পান, তার চেয়ে ক্রিকেট দেখতে চার গুণ সমর্থক মাঠে আসেন। মেরির কথায়, ‘‘ইডেনে এই সমর্থন দেখে কিছুটা আফসোস হয়। ভাবি বক্সিংয়েও যদি এমন সমর্থন পাওয়া যেত,’’ বলেই হাসতে শুরু করেন তিিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy