সৌজন্য: টেস্ট শেষ। সৌরভের সঙ্গে করমর্দন শাস্ত্রীর। টুইটার
সিরিজ জিতে প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল বিরাট কোহালির মুখে। নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীও।
ভারতের বুকে এই প্রথম গোলাপি বলে ইডেনে দিনরাতের টেস্ট সফল ভাবে আয়োজনের জন্য সৌরভকে অভিনন্দন জানান তিনি। বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দনের সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে শাস্ত্রীর টুইট, ‘‘দারুণ গোলাপি শো হল কলকাতায়। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আয়োজনে কোনও ত্রুটি নেই। ওয়েল ডান।’’
বাংলাদেশ দলকেও পরামর্শ দেন শাস্ত্রী। বলেন, ‘‘বিদেশে গিয়ে আরও খেলতে হবে বাংলাদেশকে। একই সঙ্গে বোলিংকে শক্তিশালী করতে হবে। মুশফিকুর প্রমাণ করেছে ভাল ক্রিকেট খেলার জন্য কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’
গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্টে এক ইনিংস ও ৪৬ রানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়। অধিনায়ক বিরাট কোহালির শতরানের সঙ্গে যে জয়ের নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় পেসারদের বিধ্বংসী বোলিং। ইডেনে বিপক্ষের ২০টি উইকেটের মধ্যে ১৯টি ভাগ করে নিয়েছেন ভারতের পেস ত্রয়ী (দুই ইনিংস মিলিয়ে ইশান্ত শর্মা ৯টি, উমেশ যাদব ৮টি ও মহম্মদ শামি ২টি)। ম্যাচের পরে তাদের পেস ব্যাটারি নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় শিবির।
ইডেন টেস্টে স্মরণীয় বোলিং করা ইশান্ত শর্মা ম্যাচের পরে রসিকতা করে বলছিলেন, ‘‘ম্যাচের মধ্যে শামি এসে বলছিল তোমার পকেটে যা যা অস্ত্র রয়েছে তা আমাকেও দাও।’’ ভারতীয় দলের এই বর্ষীয়ান পেসার যোগ করেন, ‘‘আমাদের দলে পেস বোলিং বিভাগে সবাই একে অপরের সাফল্য উপভোগ করি।’’ নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ইশান্ত এর পরে বলেন, ‘‘পরিকল্পনামাফিক ঠিক জায়গায় বল ফেলেই এই সাফল্য। ইনদওরে আমরা ঠিক করেছিলাম, বাঁ হাতিদের বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্য উইকেটে গিয়ে লেগ কাটার দেওয়ার। যা নিয়ে বোলিং কোচ ও ব্যাটিং কোচের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। ভ্রান্তিও তৈরি হয়েছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘কিন্তু আমি ওই রণনীতি অনুযায়ী বল করে গিয়েছিলাম। ইডেনেও ঠিক সেটাই করেছি। প্রথম দিন বল সুইং করছিল না। কিন্তু শনিবার বল সুইং করতে শুরু করে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে বোলিং করতে অসুবিধা হয়নি।’’
সতীর্থ ইশান্ত, শামিদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ভারতীয় দলের উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। খেলা শেষে ভারতীয় বোলিং নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘গত তিন-চার বছর ধরে আমাদের পেসাররা দুর্দান্ত খেলছে। প্রত্যেকের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের উপরে। দেশে ও দেশের বাইরে সব মাঠেই সাফল্য পেয়েছে ওরা। এখন আর কেবল স্পিন আমাদের বোলিংয়ের একমাত্র শক্তি নয়।’’ গোলাপি বলের বিরুদ্ধে উইকেটরক্ষা করতে গিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা হয়েছিল কি না তা জানতে চাইলে ঋদ্ধি বলেন, ‘‘রাতের আলোয় বল নড়াচড়া করেছে। তার জন্য বিশেষ কিছু প্রস্তুতি নিতে পারিনি। উইকেটরক্ষার যে প্রাথমিক শিক্ষা, তা কাজে লাগিয়েছি।’’
ভারতীয় বোলিং বিভাগের এই সাফল্যে খুশি দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীও। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের বোলিং বিভাগ একটা পরিবারের মতো। একজন ভারতীয় হিসেবে বোলিং বিভাগের এই পেশাদার মানসিকতা দেখে বেশ ভালই লাগে। তবে এই সাফল্য রাতারাতি আসেনি। তার জন্য সময় দিতে হয়েছে। গত ১৫ মাসে বিদেশের মাঠে অনেক ম্যাচ খেলেছেদল। বোলাররা একসঙ্গে শিকার করতে পছন্দ করে। সেই শিক্ষাতেই এই সাফল্য।’’ যোগ করেন, ‘‘ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করতে শিখেছে। জয় পাওয়ার জন্য শৃঙ্খলা ও খিদে দু’টিই রয়েছে এই ভারতীয় দলের মধ্যে। প্রত্যেকেই সব ম্যাচ জিততে চায়। যা করতে গিয়ে ছেলেরা উপলব্ধি করেছে কেউ একা কিছু করতে পারবে না। সাফল্যের কোনও সহজ রাস্তা নেই। দলগত সংহতিতে আস্থা প্রত্যেকের।’’
বোলিং কোচ বি অরুণ এই সাফল্য নিয়ে বলছেন, ‘‘যে কোনও সফরের জন্য নিবিড় প্রস্তুতি, রণনীতি অনুযায়ী আক্রমণ কার্যকরী করার মাধ্যমেই এই সাফল্য। আমাদের বোলিং আক্রমণ অভিজ্ঞ। পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়াটাই এই ভারতীয় বোলিংয়ের বিশেষত্ব। নিউজ়িল্যান্ড সফরেও ভাল কিছু করার দিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy