—ফাইল চিত্র।
নতুন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের মাসখানেকের মধ্যে হঠাৎ করেই নানা সংশয় দেখা দিতে শুরু করে দু’পক্ষের সম্পর্ক নিয়ে। আজ, মঙ্গলবার বৈঠকের পরেই স্পষ্ট হতে পারে লাল-হলুদের ভবিষ্যৎ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তায় ও অম্বানী পরিবারের সহায়তায় ‘শ্রী সিমেন্ট’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরেই আইএসএলে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। গত রবিবার সরকারি ভাবে তাদের খেলার কথা ঘোষণাও করে এফএসডিএল। কিন্তু গত মঙ্গলবার ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভার পরেই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। সদস্যদের একাংশ মূলত আপত্তি তোলে প্রস্তাবিত চুক্তির তিনটি শর্ত নিয়ে। এক) ক্লাব ও লগ্নিকারী সংস্থার নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। ভবিষ্যতে যদি দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হয়, সে ক্ষেত্রে লগ্নিকারী সংস্থার নিয়মই অগ্রাধিকার পাবে। দুই) এত দিন সদস্যেরা কার্যকরী কমিটি নির্বাচন করতেন। নতুন কোম্পানির শর্ত অনুযায়ী সদস্যদের অধিকার বোর্ডের হাতেই থাকবে। সেক্ষেত্রে কার্যকরী কমিটির ক্ষমতা হ্রাস পাবে। তিন) বিভিন্ন ক্রীড়া বিভাগের সচিবের ক্ষমতাও কার্যত থাকবে না।
এ সব কারণ দেখিয়ে লগ্নিকারী সংস্থার চুক্তিতে সই করছিলেন না ক্লাব কর্তারা। স্থগিত হয়ে যায় কোচ ও ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া। ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয় লগ্নিকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। লগ্নিকারী সংস্থা পিছিয়ে যেতে পারে বলেও শোনা যায়।
পরিস্থিতি সামলাতে সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাব কর্তা ও লগ্নিকারী সংস্থার আইনজীবীদের সঙ্গে। তাতে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ক্লাবের তরফে চুক্তির কয়েকটি অংশ পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার তা নিয়ে ফের আলোচনা হওয়ার কথা। ওয়াকিবহাল মহলের আশা, মঙ্গলবারের আলোচনাতেই সমস্যা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তার পরেই আবার দল গঠন থেকে আইএসএলে খেলার প্রস্তুতি শুরু করবে বিনিয়োগকারী সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy