পুজোর ক’দিন দর্শনার্থীদের ভিড়ে নজর রাখতে প্রতি বছরের মতোই বিশেষ ব্যবস্থার ঘোষণা করল লালবাজার।পুলিশ সূত্রের খবর, ভিড়ের উপরে নজর রাখতে শহরে ৫২টি ওয়াচ টাওয়ার থাকছে। ওই ক’দিনের জন্য অতিরিক্ত ৭৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। শহরকে ১২টি সেক্টরে ভাগ করে ১৬ জন ডিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের মূল কন্ট্রোল রুমের সঙ্গেই থাকছে একাধিক কন্ট্রোল রুম। সে সবের দায়িত্বে থাকবেন পদস্থ আধিকারিকেরা। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে।
তৃতীয়া ও চতুর্থী থেকে শহরের বড় পুজো মণ্ডপ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তবে ছোট-বড় মিলিয়ে সব পুজোয় পঞ্চমী থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ওই দিন থেকে প্রায় দশ হাজার পুলিশকর্মী তিন শিফটে পুজোর ভিড় এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে রাস্তায় থাকবেন।
৫৭টি র্যাপিড সিটি পেট্রোল এবং পুলিশ মোবাইল ভ্যান শহর জুড়ে ঘুরবে। শহরের সাত জায়গায় থাকবে পুলিশের সহায়তা ক্যাম্প। জরুরি অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য কুইক রেসপন্স টিমের ১৩টি দল থাকবে শহরের বড় পুজো মণ্ডপগুলির কাছে। দমকলের গাড়ি যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে, সে জন্য পুলিশের তরফে ১১টি পাইলট কার রাখা হচ্ছে। থাকছে ১৬টি অ্যাম্বুল্যান্স। ভিড়ে কেউ হারিয়ে গেলে তাঁদের জন্য থাকবে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের চারটি মিসিং পার্সনস স্কোয়াড।
লালবাজার সূত্রের খবর, এ বারের বিসর্জন প্রক্রিয়া ২৯ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে।