ট্রানসিলভানিয়া ওপেনে প্রথম রাউন্ডে হারের পর অবসর ঘোষণা করলেন সিমোনা হালেপ। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস তারকা ৩৩ বছর বয়সেই অবসর নিয়ে নিলেন। রোমানিয়ার টেনিস খেলোয়াড় ১-৬, ১-৬ গেমে হেরে যান লুসিয়া ব্রোঞ্জেত্তির বিরুদ্ধে। নিজের দেশের টেনিস প্রতিযোগিতায় হারের পরেই মাইক নিয়ে অবসর ঘোষণা করেন হালেপ।
২০১৮ সালে মহিলাদের সিঙ্গলসে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন হালেপ। পরের বছর সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে জিতেছিলেন উইম্বলডন। দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালকিন ২০১৭ সালে ক্রমতালিকায় এক নম্বর ছিলেন। ডোপিংয়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল হালেপকে। পরে কোর্টে ফিরলেও সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। এই বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছিলেন হালেপ। কিন্তু খেলেননি। তাঁর কাঁধ এবং হাঁটুতে চোট থাকার কারণে অনেক দিন ধরেই টেনিস কোর্টের বাইরে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
এই মুহূর্তে হালেপ ক্রমতালিকায় বিশ্বের ৮৭০ নম্বর। অবসর ঘোষণা করার সময় তিনি বলেন, “জানি না আমার দুঃখ হচ্ছে না আনন্দ। হয়তো দুটোই হচ্ছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। শরীর নিয়ে আমি সব সময়ই পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিই। আমি চেয়েছিলাম এই কোর্টে খেলে অবসর নিতে। সেই কারণেই এখানে এসেছিলাম। জানি আমি খেলতে পারছি না। কিন্তু খেলার ইচ্ছা ছিল প্রচণ্ড। খুব ভাল লাগছে আপনারা এসেছেন। জানি না আর কখনও এখানে ফিরব কি না। তবে শেষ বারের মতো এখানে খেললাম। কাঁদতে চাই না। আমি বিশ্বের এক নম্বর ছিলাম। গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি। এটাই আমার কাছে সব। জীবন থেমে থাকে না। আশা করি আবার দেখা হবে। আমি এর পরেও টেনিস খেলব। তবে প্রতিযোগিতামূলক টেনিস খেলতে অনেক বেশি কিছু প্রয়োজন হয়। সেটা আর সম্ভব নয়।”
২০২২ সালে ইউএস ওপেন খেলতে গিয়ে ডোপ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি হালেপ। চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাঁকে। পরে যদিও সেটা কমিয়ে ন’মাস করা হয়েছিল। কিন্তু টেনিস কোর্টে ফিরে আর সে ভাবে সাফল্য পাননি হালেপ।