পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়দের সংস্থার (পিটিপিএ) তরফে চার টেনিস সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু পিটিপিএ-এর এমন পদক্ষেপের কথা জানতেনই না কার্লোস আলকারাজ়। ক্রমতালিকায় বিশ্বের তিন নম্বরে থাকা টেনিস খেলোয়াড় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, তিনি এই মামলার পক্ষে নেই।
আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থাগুলির কাজকর্মে বিরক্ত হয়ে বিদ্রোহ করেছিলেন টেনিস খেলোয়াড়েরা। নেতৃত্বে নোভাক জোকোভিচ। তাঁর তৈরি আন্তর্জাতিক টেনিস খেলোয়াড়দের সংগঠন পিটিপিএ মামলা করেছিল চার টেনিস সংস্থার বিরুদ্ধে। মূলত খেলোয়াড়দের প্রতি বিমাতৃসুলভ মানসিকতার প্রতিবাদ করে মামলা করা হয়েছিল। নিউ ইয়র্কের ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল।
পিটিপিএ-এর সদস্য হয়েও মামলার কথা জানতেন না বলে দাবি আলকারাজ়ের। মায়ামি ওপেনে খেলতে ব্যস্ত তিনি। তার মাঝেই আলকারাজ় বলেন, “আমি অবাক। কেউ বলেইনি আমাকে এই বিষয়ে। সমাজমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। আমি ওই চিঠির পক্ষে নই। আমি জানতামই না কিছু।”
আরও পড়ুন:
১৬৩ পাতার নথিতে বলা হয়েছে, টেনিস খেলোয়াড়েরা এখন কর্তাদের কারচুপির অংশ হয়ে গিয়েছেন। নিজেদের টেনিসজীবন এবং ব্র্যান্ডের প্রতিও তাঁদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। বিরোধিতা করা হয়েছে সূচি, র্যাঙ্কিং এবং ছবির স্বত্বের নিয়মেরও। জোকোভিচ ছাড়াও তাঁর সংস্থার ১২ জন খেলোয়াড় মিলে মামলা দায়ের করেছেন। তার মধ্যে সহ-সংগঠক ভাসেক পসপিসিল এবং নিক কিরিয়স রয়েছেন। ছেলেদের টেনিস সংস্থা (এটিপি), মেয়েদের টেনিস সংস্থা (ডব্লিউটিএ), আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা (আইটিএফ) এবং আন্তর্জাতিক টেনিস সংহতি সংস্থার (আইটিআইএ) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
২০২০ সালে গঠিত হওয়া পিটিপিএ খেলোয়াড়দের ক্ষমতাবৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের উপর সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণ কমানোর চেষ্টা করছে। যদিও এটিপি সেই দাবি খারিজ করে জানিয়েছে, ভুল তথ্য দিয়ে টেনিসবিশ্বকে বিভাজিত করতে চাইছে পিটিপিএ। তাদের দাবি, খেলোয়াড়দের স্বার্থটা বোঝে এটিপি-ই। ডব্লিউটিএ জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। এতে সময় এবং সম্পদের অপচয় হবে বলে আক্ষেপ করেছে তারা। নিজেদের ‘টেনিসের রক্ষাকর্তা’ হিসাবে উল্লেখ করে আইটিএফ জানিয়েছে, ঠিক সময়ে তারা উত্তর দেবে। অন্য দিকে, আইটিআইএ পাল্টা আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।