Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

তিন বছর আগের স্মৃতি ভুলে আজ সাবধানি সুনীলরা

মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসেছেন প্রথম একাদশের নির্ভরযোগ্য স্টপার আনাস এথানোডিকা। ফলে ভারতের রক্ষণে ফের বদল ঘটছে। নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ইগরকে।

প্রস্তুতিতে সুনীল, সাহালরা।—ছবি টুইটার।

প্রস্তুতিতে সুনীল, সাহালরা।—ছবি টুইটার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১৪
Share: Save:

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দু’দেশের ফারাক অনেক।

ভারত ১০৬। আফগানিস্তান ১৪৯।

দু’দল মুখোমুখি হয়েছে এ পর্যন্ত মোট আট বার। ভারত জিতেছে ছ’টিতে।

শেষ বার দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৬-র সাফ কাপে। তিরুঅনন্তপুরমে সে বারও সুনীল ছেত্রীরা জিতেছিলেন।

আজ, বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচের আগে অবশ্য সুনীল বা তাঁর দলের কোচ ইগর স্তিমাচ সে সব নিয়ে ভাবছেনই না। তীব্র ঠান্ডায় তাজিকিস্তানে গিয়ে হারুন আমিরির দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সুনীল যেমন বলে দিয়েছে, ‘‘তিন বছর আগে সেই মধুর কাপ জয়ের কথা ভাবলে ভাল লাগে। কিন্তু তারপর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। ওই ম্যাচে জেজে (লালপেখলুয়া) দারুণ খেলেছিল। এই ম্যাচ সম্পূর্ণ আলাদা।’’ রেকর্ডকে গুরুত্ব না দিয়ে ভারত অধিনায়কের সংযোজন, ‘‘আমরা প্রচুর গোলের সুযোগ পাচ্ছি। সেটা আরও বাড়াতে হবে এবং গোলে পরিণত করতে হবে। পাশাপাশি রক্ষণও জমাট রাখতে হবে। গোল খাওয়া আটকাতে হবে।’’

কিন্তু মাঠে নামার আগেই যে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসেছেন প্রথম একাদশের নির্ভরযোগ্য স্টপার আনাস এথানোডিকা। ফলে ভারতের রক্ষণে ফের বদল ঘটছে। নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ইগরকে। আফগানিস্তান ম্যাচের আগে এক দিনও পুরো দলকে একসঙ্গে পাননি ক্রোয়েশীয় কোচ। অনুশীলন না করেই নামতে হবে কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। দুবাই থেকে ডুসানবেতে যাওয়ার পরেই যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সুনীলদের কোচ। এ দিন তিনি বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তান এমন একটা জায়গাকে খেলার জন্য বেছেছে, যেখানে বাইরের দলগুলি অসুবিধায় পড়ে। অন্য দলগুলোর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। আমাদের কাজটা কঠিন। জেতার জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’’

তিনটি ম্যাচ খেলে ভারত একটাও জেতেনি। একটি হেরেছে, দুটি ড্র। অন্যদিকে আফগানিস্তান জিতেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কাতারের কাছে ছয় গোল খেয়েছে। হেরেছে ওমানের বিরুদ্ধেও।

বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রণয় হালদারকে নিয়ে এসেছিলেন ইগর। দলের মিডিয়োকে পাশে রেখেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা দু’টি দলই তিনটি করে ম্যাচ খেলেছি। আফগানিস্তান দলটা যথেষ্ট শক্তিশালী। শক্তি দিয়ে খেলে। ওদের বেশ কয়েকজন ফুটবলার ইউরোপেও খেলে। তবে নীচের দিকের ডিভিশনে। যেখানেই খেলুক, ইউরোপের অভিজ্ঞতা সব সময়ই দারুণ।’’ পাপাশাশি আনাস হঠাৎ দেশে ফিরে যাওয়ায় তিনি যে চিন্তিত, তাও গোপন করেননি। বলেছেন, ‘‘আনাসের জন্য খারাপ লাগছে। ওকে আমরা ড্রেসিংরুমে মিস করব।’’ প্রণয়ের মন্তব্য, ‘‘যত ক্নান্তিই থাকুক বা প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, মাঠে রেফারির বাঁশি বাজলেই সব ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়তে আমরা প্রস্তুত।’’

আফগানিস্তান দল যথেষ্ট শক্তিশালী। দলের সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হারুন আমিরি পরিচিত মুখ। ভারতে আইএসএল এবং আই লিগে খেলেছেন। অধিনায়ক ফারসাদ নুরও অভিজ্ঞ। পিএসভি আইন্দহোভেনের যুব দলে ছিলেন। দু’বছর সিনিয়র দলে খেলেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই জিতেছিল দেশ। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আফগানিস্তান কোচ আনুস দাস্তাগিভ ফুরফুরে মেজাজে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের ঘরের মাঠ হিসেবে তাজিকিস্তানকে বেছে নিয়ে ঠিকই করেছি। বহু দূরে থাকলেও ওদের আর আমাদের ভাষা এক। তাই মনে হচ্ছে ঘরের মাঠ। এই মাঠে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জিতেছি। তাজিকিস্তান ও জর্ডনের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করেছি। ভারত শক্তিশালী দল। কিন্তু আমি আশাবাদী। ভাল

কিছু হবে।’’

বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে: ভারত বনাম আফগানিস্তান (সন্ধে ৭-৩০, স্টার স্পোর্টস ওয়ান)

অন্য বিষয়গুলি:

Football India Afghanistan World Cup Qualifier
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy