পরামর্শ: লক্ষ্মণের ক্লাসে বাংলার ক্রিকেটারেরা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
নতুন অধিনায়ক নির্বাচনের পরের দিন ভিভিএস লক্ষ্মণের প্রশিক্ষণে অনুশীলন করল বাংলা। বর্তমান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন দলীপ ট্রফিতে ভারত ‘রেড’ দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আসেননি প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিও। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। অথচ হোয়াটসঅ্যাপ মারফত তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে তার উত্তর মেলেনি। রাত পর্যন্ত ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। জয়পুরে প্রাক-মরসুম প্রতিযোগিতায় বাংলা খেলতে যাওয়ার আগে শেষ অনুশীলনের দিন মনোজ কেন এলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
এ দিন অনুশীলন শুরু হওয়ার আগে ইয়ো ইয়ো টেস্ট হওয়ার কথা ছিল বাংলার ক্রিকেটারদের। কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সাধারণ ফিজিক্যাল ট্রেনিং শেষ করেই নেট করার নির্দেশ দেন কোচ অরুণ লাল। কোচ যদিও জানিয়ে দিয়েছেন, জয়পুর থেকে ফিরেই ইয়ো ইয়ো টেস্ট করে দেখে নেওয়া হবে প্রত্যেকের ফিটনেস-মাপকাঠি। শুক্রবার সকালে সৌরভের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন শেষে অরুণ বলেন, ‘‘জয়পুরে প্রাক-মরসুম প্রতিযোগিতায় কেউ ভাল পারফর্ম করলেও তাকে ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাশ করেই দলে আসতে হবে। ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী ইয়ো ইয়ো টেস্টের পাশ নম্বর ১৬.১ পয়েন্ট। আমরা তা বাড়িয়ে ১৬.২ মাপকাঠি রেখেছি। কেউ যদি সেই পয়েন্টের নীচে শেষ করে, তা হলে বাংলার দরজা তার জন্য বন্ধ।’’
এখনও পর্যন্ত দু’টি ইয়ো ইয়ো টেস্ট হয়েছে বাংলার। তাতে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই শেষ করেছেন ১৬.১ পয়েন্টের উপরে। কেউ কেউ ১৭.২, এমনকি ১৮.১ পয়েন্টেও শেষ করেন। অরুণের বিশ্বাস, জয়পুর থেকে ফেরার পরে ১৯ পয়েন্টও ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব।
বাংলা ক্রিকেটের ফিটনেসে যে উন্নতি হয়েছে তার উদাহরণ হিসেবে কোচ টেনেছেন অর্ণব নন্দীর প্রসঙ্গ। ৩১ বছরের অর্ণব পাঁচ বছর পরে রাজ্য দলে ফিরেছেন। স্থানীয় ক্রিকেট মরসুমে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে অনুশীলনে আসতে বলেন অরুণ। প্রাথমিক দলে না থাকলেও অরুণ বিশ্বাস করতেন, ওজন কমিয়ে এক অন্য অর্ণবকে ফেরানো সম্ভব। বাংলার ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাসের সঙ্গে অনুশীলন করে দু’মাসে আট কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছেন তিনি।
এ দিন লক্ষ্মণের প্রশিক্ষণে অর্ণবদের টেকনিক নিয়েও খুঁটিনাটি দেখে নেওয়া হল। লক্ষ্মণ বেশি সময় দিলেন সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে। সুদীপের ব্যাকলিফ্ট ও ফুটওয়ার্ক নিয়ে পরামর্শ দিলেন। ওপেনার বিবেক সিংহ, শ্রীবৎস গোস্বামীদের প্লাস্টিক বলের বিরুদ্ধে অনুশীলনও করানো হল। সাধারণত সুইং ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কংক্রিটের পিচে প্লাস্টিক বলের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানেরা প্রস্তুতি নেন। প্লাস্টিক বল যে হেতু হাল্কা, তাই হাওয়ায় অনেকটা নড়াচড়া করে। সেই সঙ্গে কংক্রিটের পিচ বলকে বাউন্স করতেও সাহায্য করে। অস্ট্রেলিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে এ ভাবেই প্রস্তুতি নেন কোহালিরা। যে প্রথা ফিরল বাংলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy