সূর্যকুমার যাদব। ছবি: এক্স (টুইটার)।
বাউন্ডারি লাইনে সূর্যকুমার যাদবের নেওয়া ডেভিড মিলারের ক্যাচটাই বিশ্বকাপ ফাইনালের ফল ঠিক করে দিয়েছিল শনিবার। অনবদ্য সেই ক্যাচের পর ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার অন্য কাউকে দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ সাজঘরে তাঁর নামই ঘোষণা করেন। মিলারের ক্যাচ নেওয়ার অনুভূতির কথাও বলেছেন সূর্যকুমার।
প্রতি ম্যাচের মতো শনিবারও ভারতীয় দলের সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ফাইনালের পর সূর্যকুমারের গলায় পদক পরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। সূর্যকুমার ম্যাচের রং বদলে দেওয়া ক্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘‘সেই মুহূর্তে বলটাকে দেখে আমার বিশ্বকাপ ট্রফি মনে হচ্ছিল। মনে হল বিশ্বকাপটা মাঠের সীমানার বাইরে উড়ে যাচ্ছে।’’ একটু থেমে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এখন বেশ সহজে কথাগুলো বলতে পারছি। কিন্তু সে সময় কাজটা সহজ ছিল না একেবারেই। সকলেরই হয়তো মনে হয়েছিল ছক্কা হয়ে যাবে। আমার মনে হয়েছিল, বলটা আমার পক্ষে ধরা সম্ভব। তাই চেষ্টা করেছিলাম। সে সময় বাতাসের গতিও আমাদের পক্ষে ইতিবাচক ছিল। তাতে আমার লাভ হয়েছে। অনুশীলনে আমাদের নানা রকম ক্যাচ ধরতে হয়। আমাদের ফিল্ডিং কোচ নানা ভাবে অনুশীলন করান। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ভাবেই ক্যাচটা ধরেছি।’’
ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জয়ের আশা ছাড়েননি সূর্যকুমার। যে কোনও রকম সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা দুর্দান্ত হয়েছে। খুব উপভোগ করেছি। শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ফলের জন্য। দু’দলই সমান সুযোগ পেয়েছে। মিথ্যা বলব না, একটা সময় মনে হচ্ছিল আমরা বোধ হয় জয়ের থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। তবে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি। সেই পরিশ্রমের কথা ম্যাচের শেষ পাঁচ-ছয় ওভার আমার মাথায় ঘুরছিল। তখনও যশপ্রীত বুমরার ২ ওভার এবং আরশদীপ সিংহের ১ ওভার বাকি ছিল। তাই আশাও ছিল। ওরা আমাদের হতাশ করেনি।’’
২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর পাশে পাবেন না রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে। বিষয়টা আগেই আঁচ করেছিলেন তিনি। সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই মনে হচ্ছিল, এমন একটা কিছু হতে পারে যেটা খুশির হবে না। তবে ওরা দু’জন যে ভাবে শেষ করল, যে ভাবে প্রতিযোগিতায় খেলেছে সেটা খুবই ভাল। ওদের জন্য আমার বেশ আনন্দই হচ্ছে। ওরা অবশ্য টেস্ট আর এক দিনের ক্রিকেট খেলবে। ওই দু’ধরনের ক্রিকেটে ওদের আরও কিছু অর্জন করার সুযোগ আছে। হয়তো ২০ ওভারের ক্রিকেটের থেকেও বেশি কিছু অর্জন করতে পারবে। ওদের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। ওরা নিজেদের ক্রিকেটজীবন যে ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেটা দুর্দান্ত। ওদের নিয়ে দলের সবাই গর্বিত।’’
সূর্যকুমার খুশি এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের প্রত্যেকে কিছু না কিছু অবদান রাখায়। দলগত সংহতির এই সাফল্য তাঁর কাছে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy