বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তার পর কেটে গিয়েছে ১৭ বছর। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। ২০০৭ সালে অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তিনি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। পরে বিরাট কোহলি নেতৃত্ব দিয়েছেন। রোহিত শর্মাও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু তাঁরা ট্রফি জিততে পারেননি। রোহিতের কাছে ফের সুযোগ এসেছে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কতটা এগিয়ে ভারত?
শনিবার বার্বাডোজ়ে খেলতে নামবে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে বেশ কিছু জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে এগিয়ে থাকবেন রোহিতেরা।
স্পিন বিভাগ
ভারতীয় দলে চার স্পিনার। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত অক্ষর পটেল, রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদব খেলেছেন। বেঞ্চে বসে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল। বলা হয় যে দলের বেঞ্চ যত শক্তিশালী, সেই দল ততটাই শক্তিশালী। ভারতীয় দলের স্পিন আক্রমণ তেমনই। বেঞ্চে বসে থাকা চহাল আইপিএলে ১৫ ম্যাচে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন। সেই স্পিনারকে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। আর খেলতে নেমে চার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ। অলরাউন্ডার অক্ষর সাত ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। আমেরিকা থেকে ভারতীয় দলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে খেলতে আসার পরেই দেখা যাচ্ছে কুলদীপদের দাপট।
দলের ভারসাম্য
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রান পাচ্ছেন না বিরাট কোহলি। তার পরেও একের পর এক ম্যাচ জিতছে ভারত। ফর্মে নেই রবীন্দ্র জাডেজাও। তাতেও ক্ষতি হচ্ছে না ভারতের। এই সাফল্যের অন্যতম কারণ দলের ভারসাম্য। বিরাট না পারলে খেলছেন রোহিত শর্মা। কোনও ম্যাচে সামলে দিচ্ছেন ঋষভ পন্থ, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্যেরা। জাডেজার অভাব ঢেকে দিচ্ছেন অক্ষর এবং কুলদীপ। কোনও এক জন ক্রিকেটারের উপর নির্ভর করছে না দল। সেটাই রোহিতের দলের মূল শক্তি। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বললেন, “ভারতীয় দল ইতিহাস ফেরানোর পথে। যথেষ্ট শক্তিশালী দল। দুর্দান্ত ভারসাম্য। সেটাই ভারতকে এগিয়ে রাখছে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে।”
রোহিতের ফর্ম
আইসিসি প্রতিযোগিতা মানেই রোহিতের ব্যাটে রান। এ বারেও অন্যথা হয়নি। সাত ম্যাচে ২৪৮ রান করেছেন রোহিত। শীর্ষে থাকা রহমানুল্লা গুরবাজ়ের থেকে ৩৩ রান পিছিয়ে। তাঁর গড় ৪১.৩৩। স্ট্রাইক রেট ১৫৫.৯৭। রোহিত ফাইনালেও এই ভাবে ব্যাট করলে দুঃখ আছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। তিনটি অর্ধশতরানও করেছেন তিনি। বিরাট রান না পেলেও রোহিত চিন্তার কারণ হয়ে উঠছেন বোলারদের জন্য। পাওয়ার প্লে-তে তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং দলকে সুবিধা করে দিচ্ছে। যেটার সুবিধা নিচ্ছেন সূর্য, হার্দিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy