হতাশ বাংলাদেশের তোহিদ হৃদয়। ছবি: এক্স।
১৭তম ওভারে আম্পায়ার একটি বলে চার রান দেননি বাংলাদেশকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচটি চার রানেই হারে তারা। বাংলাদেশের ব্যাটার তোহিদ হৃদয় ম্যাচ শেষে প্রশ্ন তুললেন আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে। বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুশি নন।
সোমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৩ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে যায় ১০৯ রানে। চার রানে হারতে হয় তাদের। ১৭তম ওভারে মাহমুদুল্লার প্যাডে বল লেগে সেটা বাউন্ডারিতে চলে যায়। কিন্তু বল বাউন্ডারিতে পৌঁছনোর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। ফলে বাউন্ডারি হওয়ার আগেই বল ডেড হয়ে যায় আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী। তাতেই খুশি নন হৃদয়।
ম্যাচ শেষে হৃদয় বলেন, “ওই সিদ্ধান্তটা আমাদের জন্য ভাল ছিল না। খুব হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়। কারণ ওই চার রান ম্যাচের ফলাফল ঘুরিয়ে দিতে পারত। তবে আমাদের ওই ব্যাপারে কিছু বলার নেই।”
হৃদয় নিজের আউট নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তিনি এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন। বল তাঁর প্যাডে লাগার পর বোলার কাগিসো রাবাডা ছাড়া আর কেউ আবেদন করেননি। রাবাডাও খুব একটা জোর দিয়ে আবেদন করেছিলেন এমন নয়। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিতে দেরি করেননি। হৃদয় রিভিউ নিলে দেখা যায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের (আম্পায়ারস কল) কারণেই আউট হয়েছেন হৃদয়।
বাংলাদেশের ব্যাটার বলেন, “আইসিসি-র নিয়ম তো আর আমার হাতে নেই। মাহমুদুল্লার সময় ওই চার রান আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানাতেই পারেন। তাঁদের ভুলও হতে পারে। তাঁরাও তো মানুষ। আমরা ব্যাট করার সময় দু’-তিনটে ওয়াইড দেওয়া হয়নি। আমার মনে হয় ওই চার রান এবং ওয়াইডগুলো পেলে ম্যাচ অন্য রকম হত। আমার আউটটাও ‘আম্পায়ারস কল’-এর জন্য হল। এই সব জায়গাগুলোয় উন্নতি প্রয়োজন। তবে আইসিসি-র নিয়ম নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy