Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Swimming

কিশোরী সাঁতারুর যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত কোচ দিল্লি থেকে গ্রেফতার

ওই কিশোরীকে যৌন হেনস্থার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

অভিযুক্ত কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

অভিযুক্ত কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:১১
Share: Save:

বাংলার কিশোরী সাঁতারুকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে দিল্লি থেকে যৌথ ভাবে গ্রেফতার করেছে গোয়া ও দিল্লি পুলিশ।

ওই কিশোরীকে যৌন হেনস্থার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযুক্ত কোচকে খুঁজে বার করতে উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার উৎকৃষ্ট প্রসূন, মাপুসার এসডিপিও গজানন্দ প্রভুদেশাই এবং ইনস্পেক্টর কপিল নায়েককে নিয়ে একটি বিশেষ দল গড়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারি এড়াতে বিভিন্ন শহরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সুরজিৎ। বেঙ্গালুরু, ভোপাল-সহ বিভিন্ন শহরে পাড়ি দেয় গোয়া পুলিশের বিশেষ দল। এ ছাড়াও সতর্ক করা হয় ভারতের প্রতিটি শহরের পুলিশকে। অভিযুক্তকে এ দিন দিল্লির কাশ্মীরি গেট থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত দিল্লি থেকে অন্য শহরে পালানোর ছক কষছিলেন বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে গোয়া পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘কোনও দিন ভাবিনি স্যর আমার সঙ্গে এ রকম...’

আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সাঁতার কোচের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ঘোষণা রিজিজুর

মাপুসা থানা সূত্রে খবর অভিযুক্ত কোচের বিরুদ্ধে ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৫৪ (যৌন হেনস্থা) এবং ৫০৬ (সমাজবিরোধী কার্যকলাপ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শিশু নিগ্রহের অভিযোগে পকসো আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভোপালে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় সাঁতারুদের নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত কোচ। প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিশোরীর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর সেখান থেকেই ফেরার হয়ে যান সুরজিৎ। তাঁর দুটো ফোনই সুইচড অফ ছিল।

বুধবার ওই কিশোরী সাঁতারু অভিযোগ করে, গত ছ’মাস ধরেই তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলেন কোচ। তিনি বাংলারই প্রাক্তন সাঁতারু। এ রাজ্য ছেড়ে গোয়ায় প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিশোরী সাঁতারুর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ক্রীড়া মহল। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। বৃহস্পতিবার হুগলির রিষড়া থানায় ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগ জানায় ওই কিশোরীর পরিবার।

অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরের দিনই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু কড়া টুইট করে জানান, ভারতের কোনও সাঁতার সংস্থা যেন ওই সাঁতার কোচের সঙ্গে চুক্তি না করে। এর পরেই সুরজিতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। অভিযুক্ত কোচকে ইতিমধ্যেই নির্বাসিত করেছে সুইমিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy