আকর্ষণ: ইডেনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান চান সৌরভ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকার সঙ্গেই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতেও (এনসিএ) নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে রবি শাস্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার সিএবি-তে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০২১-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে শাস্ত্রীর। এই মেয়াদের মধ্যেই এনসিএ-তে নতুন দায়িত্বে দেখা যেতে পারে ভারতীয় দলের কোচকে। সৌরভ চান, ভারতীয় দলের সঙ্গেই নতুন প্রতিভা তুলে আনার দায়িত্বেও যুক্ত করা হোক শাস্ত্রীকে।
সৌরভের ঘোষণা, ‘‘ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন শাস্ত্রীকে এনসিএ-তেও যাতে যুক্ত করা করা যায় তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে এনসিএ-কে। রাহুল দ্রাবিড়, পরস মামরের মতো প্রশিক্ষক সেখানে দায়িত্বে আছেন। বি অরুণও মাঝে মধ্যে এনসিএ-তে যান।’’
ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে কতটা সফল শাস্ত্রী? সৌরভের উত্তর, ‘‘কোচ ভালই কাজ করেছে। কিন্তু আগেও বলেছি, ভারতকে বড় প্রতিযোগিতায় জিততে হবে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরেছি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছি। কিন্তু এই দলটির মধ্যে বড় প্রতিযোগিতা জেতার ক্ষমতা রয়েছে। শুধু শেষ বাধাটি পেরতে হবে।’’
ভারতীয় ক্রিকেটের ‘সাপ্লাই লাইন’ হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। শেষ দু’বছর ধরে যা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পরিণত হয়েছে। সেই পরিস্থিতি দ্রুত বদলানোর উদ্যোগেই প্রাক্তন সতীর্থ ও বর্তমান এনসিএ প্রধান রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌরভ। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৈঠকে? সৌরভের উত্তর, ‘‘খুব ভাল বৈঠক হয়েছে। রাহুলের সঙ্গে একান্তেও কথা হয়েছে। ওকে জিজ্ঞাসা করেছি, কী করলে এনসিএ-কে আরও উন্নত করে তোলা সম্ভব।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘বেঙ্গালুরুতেই একটা নতুন অ্যাকাডেমি আমরা গড়ে তুলছি। অনেকটা জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এই নতুন অ্যাকাডেমি। কাজ শেষ হলে বোঝা যাবে কতটা উন্নত অ্যাকাডেমি গড়ে তোলা হচ্ছে।’’
এনসিএ নিয়ে পরিকল্পনা থাকলেও সমর্থকদের মূল উৎসাহ ইডেনের গোলাপি বলের টেস্টকে ঘিরে। ইতিমধ্যেই গোলাপি বলের আচরণ নিয়ে সরব একাধিক ক্রিকেটার। ঋদ্ধিমান সাহা বলেই দিয়েছেন, ‘‘পুরনো হয়ে গেলে বল দেখতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছিল।’’ গোলাপি বল নিয়ে সৌরভের কী অভিজ্ঞতা? ‘‘অনেক দিন আগে এমসিসি-র একটি ম্যাচ খেলেছিলাম গোলাপি বলে। যদিও তা ডিউকস-এর গোলাপি বল ছিল। ইডেনে এসজি টেস্টের গোলাপি বলে খেলা হবে। দেখা যাক, কী রকম আচরণ করে!’’
কোকাবুরার গোলাপি বলে তো কলকাতায় খেলা হয়েছে। দেখা গিয়েছিল পেসাররাই বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে এসজিও কি একই রকম আচরণ করতে পারে? ‘‘দেখা যাক! বল সুইং করলেও খেলতে হবে। ঘুরলেও খেলতে হবে।’’
দেশে টেস্ট ম্যাচের জন্য পাঁচটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের পরামর্শ দিয়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডেও যে রীতি মেনে টেস্ট আয়োজন করা হয়। সৌরভ বলে গেলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা হবে। এই সিরিজের হয়ে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে ভারতে কোনও টেস্ট সিরিজ নেই। আশা করি, তার মধ্যে এই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত
নেওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy