মেজাজে: শনিবার সিএবিতে ফুরফুরে সৌরভ। নিজস্ব চিত্র
প্রত্যাশা মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই সিএবি নির্বাচনে জয়ী হতে চলেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত শাসকগোষ্ঠী। শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে শুধু শাসকগোষ্ঠীর প্রার্থীরাই নাম নথিভুক্ত করলেন। বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে কারও নাম জমা পড়েনি।
সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভার দিন ঠিক হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর। সে দিনই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। দীর্ঘ চার বছর পরে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় বার্ষিক সাধারণ সভা বা নির্বাচন হতে যাচ্ছিল। দীর্ঘ এই সময় ধরেই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স পরিচালনা করেছে বোর্ডের কার্যকলাপ। আর রাজ্য সংস্থাগুলিতে লোঢা কমিটির সুপারিশ নিয়ে চলেছে চাপানউতোর। সেই ডামাডোলের শেষ হতে চলেছে এ বার। সিএবি-র মতো দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্য সংস্থায় নির্বাচন হতে চলেছে। যদিও সিএবি-তে নির্বাচনই আর করার দরকার পড়ছে না। সব রাজ্য সংস্থার নির্বাচন মিটে গেলে সিওএ চাইছে আগামী ২২ অক্টোবর বোর্ডেরও নির্বাচন সেরে ফেলতে।
নির্বাচন হচ্ছে না বলে সিএবি-তে এ দিনই পাঁচ জন পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করা হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নরেশ ওঝা। সচিব অভিষেক ডালমিয়া, যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস ও কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যদের নাম। পদাধিকারীদের ধরে মোট ১৯ জনকে নিয়ে তৈরি হবে অ্যাপেক্স কাউন্সিল। যেখানে আটটি ক্লাব, দু’টি জেলা ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকবেন। দু’জন মনোনীত ক্রিকেটার, পাঁচজন পদাধিকারী ও একজন ‘ক্যাগ’ মনোনীত সদস্য। প্রথম ডিভিশনের মধ্যে উয়াড়ি, ভবানীপুর, বেলগাছিয়া ও ভূকৈলাশ ক্লাবের প্রতিনিধি থাকছেন। দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাবের মধ্যে থাকছে সাহাপুর, গ্রিয়ার, পারসি ও এক্সেলসিয়র্স ক্লাবের প্রতিনিধিরা। দুই জেলা সংস্থার মধ্যে রয়েছে বীরভূম ও চন্দননগরের প্রতিনিধিদের নাম। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে আইআইটি খড়গপুরের প্রতিনিধিকে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কাদের রাখা হবে, তা নিয়েও শাসকগোষ্ঠীর অন্দরমহলে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেট কমিটিতে নিয়ে আসা হতে পারে প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় দাসকে। বড়িশা স্পোর্টিং থেকে প্রতিনিধি হিসেবে আসতে পারেন তিনি এবং শোনা যাচ্ছে, জুনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
শনিবার মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষে নির্বাচনী অফিসার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায় বললেন, ‘‘সিএবি নির্বাচনের একটি অধ্যায় শেষ হল বলা যেতে পারে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সোমবার প্রার্থীদের তালিকার স্ক্রুটিনি হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর শুনানি। তার পরের দিন নাম প্রত্যাহার করার সুযোগ দেওয়া হবে। তার পরেই ঘোষণা করা হবে প্রার্থীদের নাম।’’
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সৌরভ। আরও দশ মাস তিনি এই পদে থাকতে পারবেন। তার পরে লোঢা সংস্কার অনুযায়ী বিশ্রামে যেতে হবে তাঁকে। সন্ধের দিকে তিনি সিএবি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন হাসিখুশি মেজাজে। শুধু প্রার্থীদের নাম জানিয়ে বলে গেলেন, ‘‘এটাই আমার প্যানেল। আজ ওঁরাই কথা বলবেন।’’ সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া এ বার হয়ে যাচ্ছেন সচিব।
প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে অন্যান্য রাজ্য সংস্থাগুলিতেও। তবে লোঢা সংস্কারের কোপে পড়ে পদ এবং মৌরসিপাট্টা হারানো কর্তারা তাঁদের পরিবারের লোকেদেরই ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করছেন। যেমন সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করল শনিবার। তিনি নিরঞ্জন শাহ-পুত্র জয়দেব শাহ। সৌরাষ্ট্রের হয়ে ১২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আজ, রবিবার তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক রয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট খুব সম্ভবত হতে চলেছেন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনের মেয়ে রূপা গুরুনাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy