পিকে-ই ছিলেন শ্যাম থাপার জীবনের ধ্রুবতারা।
প্রদীপদা ছিলেন বলেই আমি শ্যাম থাপা হয়েছিলাম।
উনি আমাকে মফতলাল থেকে ইস্টবেঙ্গলে এনেছিলেন। আর ওঁর কোচিংয়েই আমি জীবনের সেরা গোল করেছি। সবাই শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারানোর কথা বলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের লিগ ছিল খুব ভাইটাল। ছ’ বার লিগ জয়ের হাতছানি ছিল। ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আমি চার জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেছিলাম। ওই গোলের পরে প্রদীপদা আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।
সে বার আমরা লিগ জিতে রেকর্ড করেছিলাম। পরে মোহনবাগানে খেলার সময়ে বাইসাইকেল কিকে গোল করেছিলাম। তখন প্রদীপদা আবার মোহনবাগানের কোচ।
আরও পড়ুন: ‘ট্রেনে একবার অমলদার কাছে যাচ্ছি, একবার প্রদীপদার কাছে’, স্মৃতিচারণে সত্যজিৎ
আরও পড়ুন: ‘পিকে আর আমি বৃষ্টিতে প্র্যাকটিস করছিলাম, বাঘাদার হুঙ্কারে প্রায় পালিয়ে গেলাম’
পরে ফুটবল ছাড়ার পরে সেই প্রদীপদার সঙ্গেই কোচিং শুরু করেছিলাম। প্রদীপদা তখন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। আমাকে সহকারী কোচ করা হল। তখন প্রদীপদা আমাকে কোচিং নিয়ে অনেক কিছু শেখাতেন। বলতেন, "কোচিং করতে হলে পড়তে হবে। চিন্তাভাবনাগুলোকে সাজাতে হবে। সেগুলোর প্রয়োগ করতে হবে।" প্রদীপদাই আমার কাছে জীবনের ধ্রুবতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy