আগ্রহী: বিরাট কোহালির দলের সঙ্গে লড়াই চান শোয়েব (ডান দিকে)।
শুধু আইসিসি-র টুর্নামেন্টে দেখা হলে লড়াই নয়, ক্রিকেটে আবার পুরোদমে ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু করা হোক বলে দাবি তুললেন শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, অবিলম্বে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই ফেরানো দরকার। ঠিক যেমন অ্যাশেজ ছাড়া ক্রিকেট ভাবা যায় না, ভারত বনাম পাকিস্তানের দ্বৈরথ ছাড়াও ক্রিকেট দুনিয়া সম্পূর্ণ হয় না।’’
এখানেই না থেমে, শোয়েব সওয়াল করছেন, ‘‘ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া কি কখনও ভাবতে পারবে ওরা একে অন্যের সঙ্গে না খেলে বসে রয়েছে? অ্যাশেজের মতোই আবেগ আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ খেলা হয়। দুর্দান্ত ইতিহাস রয়েছে দু’দেশের ক্রিকেট নিয়ে। এটা বেশ লজ্জারই ঘটনা যে, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে।’’
ভারত-পাক ক্রিকেটের ইতিহাসে নানা চমকপ্রদ, বিতর্কিত, ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। যা নিয়ে এখনও চর্চা হয়। যেমন শারজায় চেতন শর্মার বলে জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই শেষ বলের ছক্কা। অথবা কিরণ মোরেকে নকল করে মিয়াঁদাদের লাফানো। সুনীল গাওস্করের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দশ হাজার রানের এভারেস্টে ওঠাও ইমরান খানের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ধোনির ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু দু’দেশের রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজই বন্ধ হয়ে আছে আট বছর।
যা নিয়ে আফসোসের সীমা নেই শোয়েবের। ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার স্বামী বলছেন, ‘‘আমার অনেক পাকিস্তানি বন্ধু আছে, যারা ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে যথেষ্ট শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলে। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে ওদের মধ্যে যথেষ্টই আগ্রহ দেখতে পাই। আবার আমরা যখনই ভারতে খেলতে এসেছি, একই রকম ভালবাসা ও আবেগ দেখেছি। ভারতে এসে অনেক ভালবাসাও পেয়েছি আমরা।’’ ভারত-পাক ক্রিকেট যখন চালু ছিল, শোয়েব মালিক অনেক বারই তাতে অংশ নিয়েছেন। ভারতেও খেলে গিয়েছেন বেশ কয়েক বার। ভারতের বিরুদ্ধে সেই সময়ে সব চেয়ে সফল ক্রিকেটারদের এক জন ছিলেন তিনি। যোগ করছেন, ‘‘আমি চাই যত দ্রুত সম্ভব আবার দু’দেশর মধ্যে ক্রিকেট সিরিজ শুরু হোক।’’ দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট বন্ধ থাকার সময়েও বিদেশের মাটিতে যখনই খেলা হয়েছে, দু’দেশের ক্রিকেট ভক্তরাও পাশাপাশি বসে সেই দ্বৈরথ শান্তিপূর্ণ ভাবেই উপভোগ করেছেন।
ভারতের বিরুদ্ধে খেলায় তাঁর প্রিয় স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে শোয়েবের মন্তব্য, ‘‘সেঞ্চুরিয়নে ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচের কথা ভুলব না। ওখানে ১২৮ রানের ইনিংস খেলে আমিই ম্যাচের সেরা হয়েছিলাম। তা ছাড়া ২০০৪-এ এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটা মনে থাকবে। সে বার আমি ১২৭ বলে ১৪৩ রান করা ছাড়াও সচিন তেন্ডুলকর ও যুবরাজ সিংহের উইকেট নিয়েছিলাম।’’ যোগ করেছেন, ‘‘২০০৪-এ ইডেনের ওয়ান ডে-র কথাও ভুলব না। জয়ের জন্য আমরা ২৯৩ রান তাড়া করেছিলাম। সেটা ছিল ইদের ঠিক আগের দিন। নৈশালোকে ইডেনের পরিবেশটা সে রাতে সত্যিই অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল।’’
শোয়েব দাবি তুললেও এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, ক্রিকেট ভক্তরা এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টেই শুধু ভারত-পাক দ্বৈরথের আস্বাদ পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy