Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Shoaib Akhtar

‘প্রায় সবাই ম্যাচ গড়াপেটা করত, মাঠে নেমে ২১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হত’

২০১১ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই পেসার মহম্মদ আমের ও মহম্মদ আসিফ। ওপেনার সলমন বাটও সেই সময় স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হন পাঁচ বছরের জন্য। আমের-আসিফের ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা জেনে রেগে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শোয়েব।

বিস্ফোরক অভিযোগ শোয়েবের। ফাইল ছবি।

বিস্ফোরক অভিযোগ শোয়েবের। ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
লাহৌর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৪০
Share: Save:

পাকিস্তানের ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ নতুন নয়। এই অভিযোগে শাস্তিও পেয়েছেন অনেকে। এই প্রসঙ্গেই এ বার মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁর সময়ে কতটা গভীর ছিল এই সমস্যা। শুধু বিপক্ষ নয়, সতীর্থদের বিরুদ্ধেও খেলতে হয়েছিল তাঁকে, অভিযোগ শোয়েবের।

একটি টক শোয়ে শোয়েব বলেছেন, “পাকিস্তানকে কখনও প্রতারণা করব না, ম্যাচ গড়াপেটা করব না, এই বিশ্বাস সবসময় আমার ছিল। কিন্তু আমার চারপাশে ঘিরে থাকত ম্যাচ ফিক্সাররা। আমাকে ২১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হত। ওদের ১১ জন আর আমাদের ১০ জনের বিরুদ্ধে নামতে হত। কে ম্যাচ ফিক্সার, তা বোঝা যেত না। তখন খুব ম্যাচ ফিক্সিং হতো। মহম্মদ আসিফ তো একবার আমাকে বলেই ফেলেছিল যে, কোন ম্যাচগুলোয় ওরা গড়াপেটা করেছে আর তা কী ভাবে করেছে।”

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই পেসার মহম্মদ আমির ও মহম্মদ আসিফ। ওপেনার সলমন বাটও সেই সময় স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হন পাঁচ বছরের জন্য। আমির-আসিফের ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা জেনে রেগে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শোয়েব।

আরও পড়ুন: ফের বল বিকৃতিতে অভিযুক্ত পাকিস্তানের জাতীয় দলের ক্রিকেটার​

আরও পড়ুন: অভিষেক হচ্ছে মারকুটে অলরাউন্ডারের? দেখে নিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ​

বিষণ্ণ সুরে তিনি বলেছেন, “চেষ্টা করেছিলাম আমির ও আসিফকে বোঝানোর। প্রতিভার কী অপচয়। যখন এটা শুনেছিলাম, এত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যে, দেওয়ালে ঘুঁষি মেরে বসেছিলাম। পাকিস্তানের দুই সেরা বোলার, যাঁরা কি না স্মার্ট, বুদ্ধিমান এবং আদর্শ দুই পেসার, তাঁরা এ ভাবে নিজেদের নষ্ট করল। সামান্য অর্থের জন্য নিজেদের বিক্রি করল ওরা।”

মহম্মদ আমির নির্বাসন কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেও আসিফ ও বাট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি। কয়েক মাস আগের বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও খেলেছেন আমের। তবে বিশ্বকাপের পর জুলাইয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন বাঁ-হাতি পেসার। সাদা বলের ক্রিকেটে ফোকাস দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান আমির। এই সিদ্ধান্তে চমকে যায় ক্রিকেটমহল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy