আলোচনায়: শনিবার শিলিগুড়িতে খুদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচ শিবশঙ্কর পাল। নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়ির ঋদ্ধিমান সাহার পরে রিচা ঘোষ জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলছেন। নতুন প্রতিভার উঠে আসছে শিলিগুড়ি থেকে। কিন্তু মাঠে অভাব রয়েই গিয়েছে। শনিবার শিলিগুড়িতে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করতে এসে যা নিয়ে বলে গেলেন বাংলা মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ শিবশঙ্কর পাল ওরফে ম্যাকো। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘শিলিগুড়ির খেলার পরিকাঠামো প্রতিভাবানদের পিছিয়ে দিচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঠে একদিন জাতীয় পর্যায়ের খেলা হত, আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়রা খেলেছিলেন সে মাঠ বর্তমানে প্রাকটিস করার মত নয়।’’
তিনি জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঠের পরিস্থিতি বেহাল। বিভিন্ন জায়গায় গর্ত, ভাঙা রয়েছে। ক্রিকেটে প্রশিক্ষণের জন্য কলকাতার উপর নির্ভর করতে হয় শিলিগুড়ির খেলোয়াড়াদের। সাই ছিল তা বর্তমানে নেই। তারপরেও ভাল খেলোয়াড়রা পরিশ্রম করে চলেছেন। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন। বড় খেলার আসর, উন্নত প্রশিক্ষণ খেলোয়াড়দের আরও বড় জায়গায় নিতে যেতে সাহায্য করে। কিন্তু শিলিগুড়িতে মাঠের অভাব খেলোয়াড়াদের পিছনে টেনে ধরছে। রিচা ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে শিলিগুড়ি মহিলা ক্রিকেট দলের প্রশাংসা করেন তিনি। বলেন, ‘‘রিচা সাহসী, জোরে বল করতে পারে। ব্যাটে খুবই ভাল। সেই প্রতিভা শিলিগুড়ি মেয়েদের ক্রিকেটে রয়েছে।’’
শিলিগুড়িতে ক্রিকেট মাঠ নেই বললেই চলে। কাঞ্চজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আগে ক্রিকেট হলেও বর্তমানে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাঠের একদিকে মেয়েরা বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আগে প্রশিক্ষণ করে থাকেন। রাজ্য ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে নতুন করে তৈরির কথা জানিয়েছিল। কাজ এখনও শুরু হয়নি। স্টেডিয়াম কমিটি আপাতত পানীয় জল থেকে বসার ঘরগুলি সংস্কার করার কথা থাকলেও তা হয়নি। আরও দুই একটি মাঠ থাকলেও সেগুলির অবস্থা আরও খারাপ। ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘মাঠের বিষয়ে দ্রুত স্টেডিয়াম কমিটির সঙ্গে আলোচনা হবে। শিলিগুড়িতে মাঠের সমস্যার কথা রাজ্যের পদস্ত কর্তাদের জানা রয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।’’
এ দিন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের মহিলা দলের খেলোয়াড়রা শিবশঙ্কর পালের সঙ্গে দেখা করে সংবর্ধনা জানান। সেখানে ছিলেন টেবিল টেনিসের প্রাক্তণ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কস্তুরি চক্রবর্তী। তিনিও শিলিগুড়িতে খেলার মাঠের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সম্প্রতি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের মহিলা দল আন্তঃজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নর্থজ়োন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা এমাসের শেষের দিকে সাউথ জ়োনের সঙ্গে খেলবে। তাদের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা কুর্মী সিনিয়র বাংলা দলের সদস্য। অঙ্কিতা মাহান্ত, অনূর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলের ক্যাম্পে ছিলেন। পুনম সোনি অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা দলের ক্যাম্পে ছিলেন। আন্তঃজেলা টুর্নামেন্ট তারা ভাল খেলেছে। আগামী দিনে তাদের সাফল্য কামনা করেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy