—ফাইল চিত্র
বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ড্যানি ফক্সকে খেলানোর তৎপরতা শুরু হয়ে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গলে। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ৫৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছিলেন লাল-হলুদ অধিনায়ক। ফলে শনিবার সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে তাঁর খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
গোয়া ম্যাচে কোচ রবি ফাওলার হলুদ কার্ড দেখেছেন। তিনিও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরফে এফএসডিএল ও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দেওয়া চিঠিতে ড্যানি ও ফাওলারের নির্বাসন প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন লাল-হলুদ কর্তারা।
গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরেই রেফারির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন কোচ রবি ফাওলার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ড্যানি ও গোয়ার আলেকজান্ডার দু’জনেই বলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল। কেন ড্যানিকে লাল কার্ড দেখালেন রেফারি, বুঝলাম না।’’ এখানেই শেষ নয়। ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ কোচ মনে করছেন, বারো জনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে তার দলকে। প্রায় সব ম্যাচেই রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
ড্যানির লাল কার্ড শুধু নয়, লিভারপুল কিংবদন্তি ক্ষুব্ধ ব্রাইট এনোবাখারের গোল বাতিল হওয়া নিয়েও। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গোল করেছিলেন নাইজিরীয় তারকা। কিন্তু রেফারি তা বাতিল করে দেন। কারণ, ব্রাইট শট নেওয়ার আগে নাকি গোলরক্ষক মহম্মদ নওয়াজ়কে ফাউল করেছিলেন লাল-হলুদেরই সুরচন্দ্র সিংহ। যদিও টেলিভিশন রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে, গোয়ার শেষ প্রহরীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল তাঁর দলেরই সেরিটন ফার্নান্দেসের। ধারাভাষ্যকাররাও বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন গোল বাতিলের সিদ্ধান্তে।
বৃহস্পতিবার সকালে চিঠির সঙ্গে ভিডিয়ো ফুটেজ পাঠিয়ে দিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। বললেন, ‘‘আমরা গোয়া ম্যাচের ফুটেজ পাঠিয়ে লিখেছি, লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাই ড্যানি ফক্সের নির্বাসন প্রত্যাহার করা হোক। যাতে ও পরের ম্যাচে খেলতে পারে।’’ ক্লাব কর্তাদের দাবি, লাল কার্ড দেখানোর ঘটনায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ড্যানি। বললেন, ‘‘চিঠিতে আমরা উল্লেখ করেছি, মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে ড্যানি। বুধবার সারারাত ঘুমোতে পারেনি।’’ লাল-হলুদের কোচ ও অধিনায়কের নির্বাসন প্রত্যাহার হওয়া সম্ভবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গোয়ার বিরুদ্ধে চার জনকে কাটিয়ে বিস্ময় গোলের পরে লাল-হলুজ জনতার নয়নের মণি এখন ব্রাইট। অসাধারণ খেলে মন জয় করে নিয়েছেন গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারও। গোয়ার বিরুদ্ধে আটটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য তাঁর নামই হয়ে গিয়েছে ‘সেভজিৎ’। বৃহস্পতিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবজিৎ বলেছেন, ‘‘গোল বাঁচানোই আমার কাজ। এটা নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচেই লক্ষ্য থাকে দুশো শতাংশ দেওয়ার। তবে গোয়ার বিরুদ্ধে জিতলে বেশি খুশি হতাম।’’ যোগ করেছেন, ‘‘সবে নয়টি ম্যাচ হয়েছে। টানা দু’টি ম্যাচ যদি জিততে পারি, তা হলেইঠিক ঘুরে দাঁড়াব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy