Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
East Bengal

ডার্বির পরে চুক্তি নিয়ে জট খুলতে পারে লাল-হলুদের

গত ৫ সেপ্টেম্বর যে টার্মশিটটি দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে আরও কয়েকটি উপধারা যোগ করা হয়েছে।

 ক্লাবের অস্তিত্ব রক্ষা ও দাবিতে অনড় কর্তারা

ক্লাবের অস্তিত্ব রক্ষা ও দাবিতে অনড় কর্তারা

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:২৯
Share: Save:

‘হয় এবার, নয় নেভার’। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও তাদের বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের সম্পর্ক। টার্ম শিটে সই হয়ে যাওয়ার পর রবি ফাওলারের দল আইএসএল খেললেও চূড়ান্ত চুক্তিতে এখনও সই হয়নি। শোনা যাচ্ছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি আইএসএলের ফিরতি ডার্বির পর গোয়াতে দুই পক্ষ আলোচনায় বসতে পারে। ক্লাব ও বিনিয়োগকারীদের এই ব্যক্তিত্বের সঙ্ঘাত মোটেও ভাল চোখে দেখছে না এফএসডিএল। যাবতীয় ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলার জন্য নীতা অম্বানির তরফ থেকে থাকবেন তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা। শ্রী সিমেন্টের তরফ থেকে থাকবেন প্রশান্ত বাঙ্গুর ও তাঁর আইনজীবী। লাল-হলুদের তরফ থেকে থাকবেন সভাপতি ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্ত। তবে সেই আলোচনায় বসার আগে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে ক্লাব। গত ৫ সেপ্টেম্বর যে টার্মশিটটি দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে আরও কয়েকটি উপধারা যোগ করা হয়েছে।

এক, লোগোর স্বত্ব কিছুতেই ছাড়তে চাইছেন না ক্লাব কর্তারা। কারণ লোগোর স্বত্ব ছেড়ে দিলে পরবর্তী সময়ে লোগো ব্যবহার করার জন্য বোর্ড অব ডিরেক্টরদের কাছ অনুমতি নিতে হবে, যা কর্তারা মানতে পারছেন না। কারণ চুক্তি অনুসারে নতুন বোর্ডে ক্লাবের প্রতিনিধি মাত্র দুজন। সেখানে বিনিয়োগকারীদের তরফ থেকে বোর্ডে থাকছেন আটজন। ফলে কর্তারা কোনও অনুষ্ঠানের চিঠি তৈরি করতে হলেও বিনিয়োগকারীদের অনুমতি নিতে হবে। তাই ক্লাব লোগোর স্বত্ব ছাড়তে নারাজ ক্লাব কর্তারা।

দুই, পুরো ময়দান ফোর্ট উইলিয়ামের অধীনে। সেই জন্য বছরে মাত্র ১৬ টাকার বিনিময়ে ইস্টবেঙ্গল সেনা বাহিনীর কাছ থেকে লিজ নিয়ে ক্লাব তাঁবু ব্যবহার করে। সেই অর্থ যায় সরকারের কোষাগারে। লাল-হলুদ সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় পরে। তবে তাদের বিনিয়োগকারীরা পেশাদার সংস্থা। তাই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তারা জুড়লেও নিজেদের নামে ক্লাব পরিসর ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ, নাম বদল সেনা মানবে না।

তিন, ক্লাব তাঁবু ব্যবহার করা নিয়েও গোলমাল তুঙ্গে। শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্লাব কর্তারা এই বিষয়ে শর্ত রেখেছে। লাল-হলুদ কর্তাদের দাবি, বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা যেন ক্লাবের একটা দিকে তাদের অফিস তৈরি করে। তাঁবুর বাকি অংশ সাবেক কর্তাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। ক্লাব পরিসরের ‘কমন’ অংশে যাবতীয় মিটিং আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি ক্লাবের পুরনো কর্মী, মাঠের মালিদের চাকরি বহাল রাখতে হবে। সেটাও ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে অবশ্য দুই পক্ষ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে ক্লাব সূত্রের খবর, কর্তারা ক্লাবের অস্তিত্ব রক্ষা ও দাবিতে অনড়। এবার জল কোনদিকে যায়, তা জানা যাবে ডার্বির পরে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy