শেষ হেরেছিলেন গত বছরের অগস্টের একেবারে শেষের দিকে। তার ১৮৮ দিন পর অপরাজিত আখ্যা হারালেন সান্টিনা। টানা ৪১ ম্যাচ, ৯টা টুর্নামেন্ট জেতার পরে।
দোহায় গত রাতে কাতার টোট্যাল ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে সানিয়া মির্জা-মার্টিনা হিঙ্গিসের অশ্বমেধের ঘোড়াকে যে রুশ জুটি থামিয়ে দিল সেই এলেনা ভেসনিনা-দারিয়া কাসাতকিনাকে বিশ্বসেরা ইন্দো-সুইস ডাবলস টিম এর ঠিক আগের টুর্নামেন্টেই কোয়ার্টার ফাইনালে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিলেন গোটা ম্যাচে মাত্র পাঁচ গেম খরচ করে। কিন্তু দোহার কোয়ার্টার ফাইনালে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম সেট অনায়াসে ৬-২ জিতেও সানিয়ারা পরের সেট আর সুপার টাইব্রেকে হেরে বসেন ৪-৬, ৫-১০। অথচ তার দু’দিন আগেই দোহায় তাঁদের প্রথম ম্যাচ সানিয়ারা সুপার টাইব্রেকেই সহজে বার করে নিয়েছিলেন।
পেশাদার ট্যুরে মেয়েদের ডাবলসে নভোত্না-জেরেভার সর্বকালের টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার বিশ্বরেকর্ডের (৪৪) মাত্র তিন ধাপ আগে হঠাৎ-ই এই পদস্খলন কেন সান্টিনার?
সানিয়া টুইটারে ব্যাপারটাকে মজার আড়ালে রাখলেও মার্টিনা সিরিয়াস। ‘তা হলে! এ ভাবেই গুটিয়ে গেল দৌড়! কিন্তু আমরা মজাই করছি। হিহি! তবে আমরা আগের চেয়েও আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব,’ হালকা মেজাজের টুইটে অবশ্য সানিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সান্টিনা’ জুটি ভবিষ্যতেও টেনিসগ্রহে থাকছে। আর মার্টিনা অপ্রত্যাশিত হারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘ওদের সঙ্গে এক সপ্তাহ আগেই খেলে জিতেছিলাম। কিন্তু সে দিনের চেয়ে এই ম্যাচে ওরা ট্যাকটিক্স একদম পাল্টে ফেলেছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় সেটের মাঝামাঝি থেকে। আমরা ব্যাপারটা ধরে তার অ্যান্টিডোট বার করার আগে হঠাৎ-ই ওরা ৫-২ পিছিয়ে এগিয়ে গেল। ফলে খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় সেট শেষ হয়ে ম্যাচ টাইব্রেকে চলে যায়। আর তাই ওদের পাল্টা ওষুধ বার করার আর সময় পেলাম না। টাইব্রেকটাও হেরে বসলাম।’’
সানিয়াদের স্বপ্নের দৌড় থেমে যাওয়ার ঘণ্টাকয়েক আগেই দোহা থেকে খানিক দূরে দূবাইয়ে তাঁর ট্যুর কেরিয়ারে টানা ১৭ নম্বর ফাইনালে ওঠার দৌড় থেমে যায় বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা জকোভিচেরও। তাও আচমকা চোখের সংক্রমণে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়াকওভার দিতে বাধ্য হন তিনি। দোহায় আবার মেয়েদের একটা ডাবলস কোয়ার্টার ফাইনাল দেখতেও স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছিল। দর্শকদের বেশির ভাগই সানিয়া-মার্টিনার নাম ধরে চিৎকার করে গিয়েছেন গোটা ম্যাচ। কিন্তু মার্টিনা বলেছেন, ‘‘মনে হচ্ছিল ফাইনাল খেলছি। ইলেকট্রিফাইং পরিবেশটাই হয়তো আমাদের প্রতিপক্ষদের তাতিয়ে তুলেছিল। অনেক সময় সমর্থনও বুমেরাং হয়ে যায় আপনার কাছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy