বজরং পুনিয়া (বাঁ দিকে) ও সাক্ষী মালিক। ছবি: পিটিআই।
ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহ জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হতেই কুস্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সাক্ষী মালিক। সাংবাদিক বৈঠকে কেঁদে ফেলে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। তবে রবিবার তিনি জানিয়েছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়। এ দিকে, পদ্মশ্রী সম্মান ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ঘুরে গিয়েছেন বজরং পুনিয়াও।
রবিবার জাতীয় কুস্তি সংস্থাকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। তার পরে অবসরের প্রশ্নে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী বলেন, “নতুন করে যদি সংস্থা তৈরি করা হয় তা হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপনাদের বলতে পারব।” নিলম্বনের প্রশ্নে তাঁর উত্তর, “এখনও লিখিত আকারে কিছু দেখিনি। জানি না শুধু সঞ্জয় সিংহ নিলম্বিত নাকি গোটা সংস্থাই। আমাদের লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আমরা মহিলা কুস্তিগিরদের হয়ে লড়ছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কুস্তিগিরদের ন্যায়বিচার দিতে চাইছি।”
এ দিকে, রবিবার দুপুরের দিকে বজরং জানিয়েছিলেন তিনি পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে নিতে চান। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “এক বার যখন দিয়ে দিয়েছি তখন এই সম্মান আর ফেরত নেব না। আমাদের বোন, মেয়েদের সম্মান যে কোনও পুরস্কারের থেকে দামী। আপনারা সবাই দেখছেন যে কী চলছে। যে দিন ন্যায়বিচার পাব সে দিনই আমি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নেব। এখন বিষয়টি আদালতে রয়েছে। আমরা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি।”
অথচ রবিবার দুপুরে বজরং বলেছিন, ‘‘আমরা কিছু করেছি বলেই সরকার আমাদের পুরস্কার দিয়েছে। আমরা দেশদ্রোহী নই। অবশ্যই পদক ফিরিয়ে নেব। দেশের জন্য নিজেদের ঘাম, রক্ত দিয়েছি। এই দেশের সম্মান আমাদের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’
কেন্দ্রের নিলম্বনের সিদ্ধান্তের পরে বজরং বলেছিলেন, ‘‘ক্রীড়া মন্ত্রক একেবারে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আমরা অভিযোগ করেছিলোম যে নতুন কমিটির উপর রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। ওরা বলে আমরা হরিয়ানা বনাম উত্তরপ্রদেশের বিভাজন করছি। সেটা সত্যি কথা নয়। আমরা দেশের হয়ে পদক জিতেছি। আমরা কমিটিতে রাজনীতি চাই না। আমরা মুখ খোলায় আমাদের ভয় দেখিয়েছে। ব্রিজভূষণ (শরণ সিংহ) কি সরকারের থেকেও বড়?’’
বজরংয়ের অভিযোগ, দেশের সব রাজ্যের কুস্তি ব্রিজভূষণের নির্দেশেই চলে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি একই আছে। ভারতীয় কুস্তি সংস্থায় ব্রিজভূষণ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। সব রাজ্যে ওর লোক আছে। ওরাই সব চালায়। এতে দেশের কুস্তির ক্ষতি হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy