ত্রাতা: রয় কৃষ্ণকে (বাঁ-দিকে) অভিনন্দন বলবন্তের। আইএসএল
আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দলের হার বাঁচালেন রয় কৃষ্ণ। তাঁর জোড়া গোলেই শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পেয়ে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল এটিকে। বড়দিনে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে খেলা রয়েছে কলকাতার। অপরাজিত থাকলেও শনিবার রাতে জাভি হার্নান্দেসরা যা খেললেন, তাতে স্পেনীয় কোচের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য।
বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করা ছাড়াও নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত একটি গোল করেন কৃষ্ণ। হায়দরাবাদ গোলকিপার কমলজিৎ সিংহ উঁচু করে বল মেরেছিলেন। বল জাভির পায়ে পড়ার পরে তিনি তা বাড়িয়ে দেন সতীর্থ এটিকের স্ট্রাইকারকে। কৃষ্ণ চতুরতার সঙ্গে বল তুলে দেন এগিয়ে আসা কমলজিতের মাথার উপর দিয়ে। বল ক্রস পিসের ভিতর দিকে লেগে ঢুকে যায় গোলে। ২-১ নিশ্চিত জেতা ম্যাচ শেষ মিনিটে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় দলের গোলকিপারের সঙ্গেই ঝামেলা শুরু হয়ে যায় আদিল খানদের।
এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেফারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। শনিবার হাবিব-আকবরদের শহরেও তারই পুনরাবৃত্তি হল। জাভি হার্নান্দেসের শট আশিস রাইয়ের বুকে লাগে। রেফারি ছিলেন দূরে। তিনি পেনাল্টি দিয়ে দেন। পেনাল্টি দেওয়ার পরে রেফারি শান্তিনাথনকে ঘিরে ক্ষোভ জানাতে থাকেন বোবারা। কিন্তু রেফারি গুরুত্ব দেননি। রয় কৃষ্ণ পেনাল্টি থেকে গোল করেন। এর পরেও রেফারির সৌজন্যে বেঁচে যায় এটিকে। নেস্তর গর্দিলোর শট বক্সের মধ্যে হাতে লাগান সুমিত রথি। নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেলেও বিরতির আগেই অবশ্য সমতায় ফিরে আসে ব্রাউনের দল। নেস্তরের মাপা ক্রস পড়ে বোবোর মাথায়। ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের হেড ক্রস পিসে লেগে গোলে ঢোকে।
কলকাতার যুবভারতীতে প্রথম পর্বের ম্যাচে যে দলটিকে পাঁচ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল হাবাসের দল, তারাই এ দিন বদলে যায়। বদলানোর পিছনে অন্যতম নায়ক ছিলেন নেস্তর গর্দিলো। নির্বাসন কাটিয়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই চমকে দিলেন তিনি।
চোটের জন্য আনাস এথানোডিকা এবং প্রণয় হালদার ছিলেন না। তার উপরে এ দিন ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে গিয়ে দেখা যায় এদু গার্সিয়া খোঁড়াচ্ছেন। মাঝমাঠের সেরা অস্ত্র না থাকায় নতুন বিদেশি মেন্ডি সোসাকে নামাতে বাধ্য হন এটিকে কোচ। রয়-ডেভিড জুটির সঙ্গে আক্রমণে ঝড় তোলার জন্য নামানো হয়েছিল জবি জাস্টিনকেও। তিনি ডাহা ফেল। হায়দরাবাদ কোচের লক্ষ্যই ছিল এটিকে-র আক্রমণকে যে কোনও ভাবেই রুখে দেওয়া। বিশেষ করে রয়কে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অস্ট্রেলীয় লিগে সোনার বুটের মালিককে রুখতে পারেননি তিনি। তাঁর ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার বোবো ২-১ করার পাঁচ মিনিট পরেই ২-২ করে এটিকে-র হার বাঁচান কৃষ্ণ। নয় ম্যাচে আট গোল করে সবার উপরে তিনি।
এটিকে: অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রীতম কোটাল, সালামরঞ্জন সিংহ, সুমিত রথি, অগস্টিন ইনগুইজ, শেহনাজ সিংহ, মেন্ডি সোসা (বলবন্ত সিংহ), জাভি হার্নান্ডেজ, জবি জাস্টিন (প্রবীর দাশ), রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy