কিংবদন্তি: লন্ডনে বিদায় নেওয়ার মুূহূর্তে রজার। ফাইল চিত্র
টেনিস থেকে বিদায় নেওয়ার মুখে রজার ফেডেরার বলেছিলেন, ‘‘খেলার আগে নিজের জুতোর ফিতে বাঁধার মুহূর্তও দারুণ উপভোগ করলাম। এখানে এই রাতে সবকিছু টেনিস জীবনে শেষবারের মতো ঘটল! পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে অবিস্মরণীয় এক উৎসবের মতো হয়ে উঠেছিল। আমি চেয়েছিলাম, বিদায়বেলার অনুভূতিটা এ রকমই হোক। হয়েছেও ঠিক তাই।’’
প্রায় একই সুরে মঙ্গলবারও তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, লন্ডনের সেই রাতের ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘সে দিন সব কিছুই একেবারে নিখুঁত চিত্রনাট্যে হয়েছিল। সব অর্থেই সেটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। নানা প্রেক্ষিতেই টেনিস জীবনের সে-ই মুহূর্তগুলো আমার কাছে অন্যরকম মাত্রা এনে দিয়েছিল। যেন সিনেমার মতো একের পর এক সব ঘটেছিল। মানছি সে দিনের আবহ কিছুটা হলেও নাটকীয় হয়ে উঠেছিল। তবু কী যে আনন্দ পেয়েছিলাম, তা বলে বোঝাতে পারব না।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার কাছে ব্যাপারটা বিশেষ একটা কিছু হয়ে থাকবে চিরকালের জন্যই। নিজের টেনিস জীবনের বিশেষ একটা উৎসব যেন।” আরও বলেছেন, “আমার সার্কিটের এতদিনকার প্রতিপক্ষেরা, এবং সেটা শুধু রাফা নয়, অ্যান্ডি মারে, নোভাক জোকোভিচও ওই রাতটাকে করে তুলেছিল অবিশ্বাস্য আবেগের এক অভিজ্ঞতা। সেই রাতটা যেন আমার জীবনের সবকিছুই। বিদায় মুহূর্তটা যেন জাদুর ছোঁয়ায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।’’
এ দিকে, নাদাল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যতই তাঁরা বন্ধু হন, কোর্টে ফেডেরারের মধ্যে নানা সময় মতে অমিল হত। তা এমনকি হয়েছে লেভার কাপেও। টেনিস জীবনে নিজের সেরা প্রতিপক্ষ সম্পর্কে স্পেনীয় তারকা বলেছেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক দারুণ। এবং সেটা সব সময়ই। তবু কোর্টে আমাদের মধ্যে অনেক ব্যাপারেই মতে অমিল হয়, হয়েছেও। সেটা নিয়ে আমরা এমনকি নিজেদের মধ্যে তর্কও করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy