ক্ষুব্ধ: আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মেজাজ হারালেন কোহালি। রবিবার। টুইটার
চেন্নাইয়ে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে রবীন্দ্র জাডেজার রান আউট ঘিরে তৈরি হল অভূতপূর্ব বিতর্ক। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকেও।
রবিবার ভারতীয় ইনিংসের ৪৭.৪ ওভারের ঘটনা। জাডেজা সিঙ্গল নিতে দৌড়েছিলেন। নন-স্ট্রাইকিং এন্ডের উইকেটে বল মারেন ফিল্ডার। আম্পায়ার প্রথমে নট আউট দেন। কিন্তু জায়ান্ট স্ক্রিনে যখন ওই ঘটনার রিপ্লে দেখানো হতে থাকে, তখন দেখা যায় জাডেজা সময় মতো ক্রিজে পৌঁছতে পারেননি। এর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কায়রন পোলার্ডের আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়াররা সাহায্য চান তৃতীয় আম্পায়ারের। তৃতীয় আম্পায়ার তখন জাডেজাকে রান আউট
ঘোষণা করেন। প্রশ্ন উঠছে, এত দেরিতে কি এই ভাবে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন আম্পায়াররা? কেনই বা পোলার্ডের কথা শোনা হল? তাঁর থ্রো উইকেটে লাগার পরে রস্টন চেজকে দেখা যায় আম্পায়ারের কাছে আবেদন করতে। কিন্তু আম্পায়ার শন জর্জ আউট দেননি। এর পরে পোলার্ড এসে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন। জায়ান্ট স্ক্রিনে তত ক্ষণে দেখানো হচ্ছে ওই ঘটনা। যার পরেই তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চাওয়া হয়।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পরেই দেখা যায়, ড্রেসিংরুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ভারত অধিনায়ক। চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় কোহালিকে। তাঁর অঙ্গভঙ্গিই বুঝিয়ে দেয়, একেবারেই তিনি খুশি নন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘‘ফিল্ডার রান আউটের আবেদন করেছিল, আম্পায়ার বলেছেন নট আউট। বিষয়টি সেখানেই শেষ। বাইরে বসে যারা টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন, তারা কিন্তু ফিল্ডারকে ফের আবেদন করার নির্দেশ দিতে পারেন না। এত দিনের ক্রিকেট জীবনে কখনও এই অভিজ্ঞতা হয়নি।’’ যোগ করেন, ‘‘জানি না ক্রিকেটের নিয়ম কী বলছে, কী ভাবে এই আউট দেওয়া হয়। তবে ভবিষ্যতের জন্য আম্পায়ারদের অনুরোধ করব, এই ঘটনাটি আরও এক বার তাঁরা দেখুন। খেলা চলাকালীন বাইরে থেকে মাঠে নির্দেশ দেওয়া যায় না। ক্রিকেটে কী করা উচিত, তা পরিষ্কার ভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।’’ ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়া টুইট করেন, ‘‘আম্পায়ার আউট দেননি। তার পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্রেসিংরুম থেকে পোলার্ডকে কেউ বলে, ওটা আউট ছিল। যা জানার পরে পোলার্ড আম্পায়ারকে জোরাজুরি করে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিতে। তার পরে আউট দেওয়া হয় জাডেজাকে। কিন্তু এটা কি ঠিক হল?’’
আকাশ চোপড়া এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, পোলার্ডের ব্যাপারটা অনেকটা স্টিভ স্মিথের ঘটনার মতো। কয়েক বছর আগে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে ডিআরএস নেবেন কি না জানতে চেয়ে অস্ট্রেলীয় ড্রেসিংরুমের সাহায্য চেয়ে বসেছিলেন স্মিথ। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। স্মিথ সাফাই দিয়েছিলেন, আকস্মিক তাঁর বুদ্ধি বিভ্রম হয়েছিল। আকাশ চোপড়া এখন প্রশ্ন তুলেছেন, স্মিথের সেই ঘটনার থেকে পোলার্ডের এই ঘটনা কী ভাবে আলাদা হয়? সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে একই কথা বলছেন। পোলার্ড যদিও নিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তাঁর উপলব্ধি, ‘‘শুরুতে আবেদন করি। আম্পায়ার শোনেননি। কিন্তু দিনের শেষে এটাই বলার, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy