শাস্ত্রী-কোহালি জুটির হাতেই ভারতীয় ক্রিকেট।
বিরাট কোহালিদের হেড কোচ হিসেবে থেকে গেলেন রবি শাস্ত্রীই। আজ, শুক্রবার ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি জানিয়ে দিল, ২০২১ সাল পর্যন্ত শাস্ত্রীর হাতেই থাকবে ভারতীয় দলের রিমোট কন্ট্রোল।
শাস্ত্রীর সঙ্গে হেড কোচের দৌড়ে ছিলেন আরও পাঁচ জন। ইন্টারভিউয়ের জন্য এ দিন তাঁদেরও ডাকা হয়েছিল। ইন্টারভিউয়ের আগেই সরে দাঁড়ান ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা ফিল সিমন্স। লালচাঁদ রাজপুত, রবিন সিংহ ও মাইক হেসন সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মুম্বইয়ে। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে সাক্ষাৎকার দেন লালচাঁদ রাজপুত। তিনি যে আত্মবিশ্বাসী, তা হোটেল ছাড়ার আগে জানিয়েছিলেন রাজপুত।
টম মুডির সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় স্কাইপিতে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে শাস্ত্রীর নাম জানিয়ে দেন কপিল। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তীব্র লড়াই হয়েছে টম মুডি, মাইক হেসন ও রবি শাস্ত্রীর মধ্যে। শেষ পর্যন্ত শাস্ত্রীকেই কোচ হিসেবে আমরা বেছে নিয়েছি।’’ তিনিই যে ফের কোচ হবেন, তা জানা ছিল সবারই। সে দিক থেকে শাস্ত্রীকে ফের নিয়োগ করার মধ্যে কোনও চমক নেই।
আরও পড়ুন: শাস্ত্রীর সঙ্গে ভরত অরুণ, বিক্রম রাঠৌর... এটাই হতে যাচ্ছে ভারতের নতুন কোচিং টিম?
দু’ বছর আগের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালের পরে শাস্ত্রীকে কোচ করা হয়। ২০১৭ সালের পর থেকে ভারত ২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে ১৩টি ম্যাচেই ভারত জিতেছে। শাস্ত্রীর কোচিংয়ে খেলা ৩৬ টি টি টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ২৫ টি ম্যাচেই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। ৬০টি ওয়ানডে-র মধ্যে ৪৩টিতেই ভারতীয় দল জিতেছে। এই রেকর্ড শাস্ত্রীর হয়েই কথা বলছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরার আগে ভারত অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে শাস্ত্রীর বোঝাপড়া ভাল। কলকাতায় এসে কপিলও জানিয়েছিলেন, কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোহালির বক্তব্যকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। যদিও কপিল জানান, কোহালির বক্তব্য তাঁদের প্রভাবিত করেনি। ‘কমিউনিকেশন স্কিল’-এর দিক থেকে বাকিদের থেকে এগিয়েছিলেন শাস্ত্রী। সেই মতোই রবি শাস্ত্রীকে আরও দু’ বছরের জন্য কোচ হিসেবে রেখে দেওয়া হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy