চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া ভাবছেন না নাদাল। ফাইল ছবি।
উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ জেতার পরেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে চিন্তা শুরু রাফায়েল নাদালের। ওপেন যুগে নাদাল হলেন তৃতীয় খেলোয়াড়, যিনি ৩৬ বছর বা তার বেশি বয়সে উইম্বলডনে সিঙ্গলসের শেষ আটে পৌঁছলেন।
বছরের প্রথম দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পর নাদালের লক্ষ্য এখন ক্যালেন্ডার স্ল্যাম। যা এখন তাঁর অধরা। সেটাই তাঁকে আরও বেশি করে তাতাচ্ছে। স্বপ্নপূরণের জন্য উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেনও জিততে হবে তাঁকে। আপাতত নাদাল মনঃসংযোগ করছেন উইম্বলডনের শেষ আটের লড়াইয়ে। ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী মনে করছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন লড়াই। খুব ভাল খেলতে না পারলে জয় পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাদাল বলেছেন, ‘‘আমি খুবই সতর্ক। কোয়ার্টার ফাইনাল বেশ কঠিন হবে। জেতার জন্য সেরা মানের টেনিস খেলতে হবে আমাকে। এটা নতুন কিছু নয়। আমি বাস্তববাদী। গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনাল সহজ না হওয়াই স্বাভাবিক।’’ শেষ আটের লড়াইয়ে নাদালের প্রতিপক্ষ আমেরিকার টেলর ফ্রিৎজ। তিনি বেশ ভাল ছন্দে রয়েছেন। নাদাল বলেছেন, ‘‘কঠিন লড়াইয়ের ব্যাপারটা মেনে নিতেই হবে। পরের রাউন্ডে পৌঁছনোর জন্য আমাকে উচ্চমানের টেনিসই খেলতে হবে।’’
কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত নাদাল খুব সহজে জেতেননি। একাধিক রাউন্ডে তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। পায়ের গুরুতর চোট নিয়ে ফরাসি ওপেন জিতেছেন। সেই চোট নিয়েই খেলছেন উইম্বলডনও। সে প্রসঙ্গে নাদাল বলেছেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতা খেলার জন্য আমাকে প্রচুর মানসিক এবং শারীরিক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কারণ, শেষ দু’মাস আমার সময় বেশ কঠিন যাচ্ছে।’’
দু’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন তিন বছর পর খেলছেন অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের কোর্টে। কোভিডের জন্য ২০২০ সালে প্রতিযোগিতা হয়নি। গত বছর খেলেননি নাদাল। তিনি বলেছেন, ‘‘সকলেই জানেন উইম্বলডনে খেলতে আমি কতটা ভালবাসি। তিন বছর পর এখানে খেলছি। সেই আগের মতোই খেলতে চাইছি। চেষ্টা করছি। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন নাদাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy