মন খারাপ নাদালের। ফাইল ছবি
তিন বছর পর উইম্বলডনে খেলতে নামছেন। তা সত্ত্বেও মন ভাল নেই রাফায়েল নাদালের। থাকবে কী করে, ‘প্রিয় বন্ধু’কেই তো উল্টো দিকে দেখতে পাবেন না। ১৯৯৯-এর পর এই প্রথম উইম্বলডনে খেলতে পারছেন না রজার ফেডেরার। উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে দু’জনের দ্বৈরথ উপভোগ করতেন সমর্থকরা। সেই দৃশ্য এ বার দেখা যাবে না। ফেডেরার না খেলার কারণেই নাদালের মনখারাপ।
২০০৬ থেকে ২০০৮, টানা তিন বার ফেডেরার এবং নাদাল উইম্বলডনে ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। নিজের পছন্দের ঘাসের কোর্টে প্রথম দু’বার ফেডেরার উড়িয়ে দেন নাদালকে। কিন্তু স্প্যানিশ খেলোয়াড় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব নিয়ে ২০০৮-এর ফাইনালে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে ফেডেরারকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। এই লড়াইকে অনেকেই চলতি শতকের সেরা টেনিস ম্যাচ বলে উল্লেখ করে থাকেন।
কোর্টের মধ্যে যতই লড়াই থাক, বাইরে ফেডেরার এবং নাদাল খুবই ভাল বন্ধু। সেই প্রসঙ্গেই নাদাল বলেছেন, “এই কোর্টে কত কিছু ভাগ করে নিয়েছি। গত ১৫-২০ বছরে নিজের টেনিসজীবনের দিকে তাকাতে গেলে ফেডেরারের কথাই সবার আগে মনে পড়ে। কী চরম শত্রুতা ছিল আমাদের! একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করেছি সব সময়। বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি, অন্য কাউকে দেখে নয়, নিজেই নিজেকে দেখে অনুপ্রেরণা পেতে হবে। তবে বিপক্ষে ওর মতো খেলোয়াড় থাকলে সহজেই বোঝা যায় কোথায় ভুল হচ্ছে, কোথায় উন্নতি করতে হবে। অসাধারণ খেলোয়াড় বললেও কম বলা হয়।”
ফেডেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন বছরশেষের ইউএস ওপেনে ফেরার। এ ছাড়া লেভার কাপে ডাবলসে দু’জনে জুটি বাঁধতে পারেন। তবে নাদাল চান ইউএস ওপেনে ফেডেরারের বিরুদ্ধে নামতে। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “বিশ্বের সব বড় স্টেডিয়ামে আমরা খেলেছি। কিন্তু নিউ ইয়র্কে কোনও দিন খেলিনি। চাই এ বার সেটাও হয়ে যাক।”
গোড়ালির অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই ফরাসি ওপেন জিতেছেন। এক সময় মনে করা হয়েছিল উইম্বলডনে নামতে পারবেন না। আশঙ্কা উড়িয়ে নাদাল খেলবেন। যে ভাবে সব এগোচ্ছে, তাতে তিনি খুশি। বলেছেন, “এখন স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা বা অনুশীলন করতে পারছি। গত দেড় বছর ধরে যে ব্যথাটা ঘুম থেকে ওঠার পর টের পেতাম, সেটা দু’সপ্তাহ ধরে আর পাই না। আগের থেকেও ভাল অনুশীলন করতে পারছি, এতেই খুশি। যে চিকিৎসা হয়েছে তাতে চোট ঠিক হয়নি, তবে ব্যথা নিঃসন্দেহে কমেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy