অপ্রতিরোধ্য: শেষ চারে নাদাল। সামনে ফেডেরার-ঘাতক। ছবি: গেটি ইমেজেস।
ফ্রান্সেস টিয়াফোর বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৩৯। জীবনে এক বার মাত্র এটিপি খেতাব জিতেছেন। গত বছর ‘ডেল রে বিচ ওপেন’। যে প্রতিযোগিতার কথা খুব বেশি কেউ শোনেননি। অবশ্য গত মরসুমে উইম্বলডনে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছন।
টিয়াফোর মতো প্রতিপক্ষ রাফায়েল নাদালের সামনে পড়লে যা প্রত্যাশিত সেটাই হল মঙ্গলবার রড লেভার এরিনায়। হাসতে হাসতে স্প্যানিশ মহাতারকা অস্ট্রেলীয় ওপেনের সেমিফাইনালে উঠলেন ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ সেটে জিতে।
টিয়াফোর বয়স একুশ। নাদাল কিন্তু উনিশ বছরে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন। তাও সেমিফাইনালে রজার ফেডেরারকে হারিয়ে। তবু যে মঙ্গলবার গোটা ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ মোট ন’টি গেম জিতলেন সেটাই আশ্চর্যের। যেখানে রাফা শুধু হার্ড কোর্টেই ম্যাচ জিতেছেন ৪২৫টি। সাধে কি এখানে এ বার ফেডেরারকে হারিয়ে ওঠা স্তেফানোস চিচিপাস বলে দিয়েছেন, ‘‘ক্লে-র মতোই হার্ড কোর্টেও নাদালকে হারানো কার্যত অসম্ভব। সার্কিটে ওর চেয়ে কঠিন কোনও প্রতিপক্ষ আছে কি না আমি জানি না।’’ ঘটনাচক্রে গ্রিসের চিচিপাসকেই সেমিফাইনালে নাদালের সঙ্গে খেলতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার তিনি হারিয়েছেন স্পেনের রবের্তো বাউতিস্তা আগুতকে। যে খেলার ফল ৭-৫, ৪-৬, ৬-৪, ৭-৬।
মাত্র এক ঘণ্টা ৪৭ মিনিটে জয়ের পরে কোর্টে নাদালের সাক্ষাৎকার নিলেন কিংবদন্তি জন ম্যাকেনরো। মজা করে ‘মায়োরকার নায়ককে’ মনে করালেন যে, এ বার তো ম্যাচ জিতলেই টিয়াফো নিজের টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলছিলেন। ‘‘তুমিও এ বার সেটা করে দেখাও।’’ এমন রসিকতায় অস্বস্তিতে পড়ে যান নাদাল, ‘আরে কী যে বলেন। ওর মতো সুন্দর শরীর তো আমার নয়।’’
ম্যাকেনরোর মতে, রাফা এই মুহূর্তে জীবনের সেরা ফোরহ্যান্ড শট খেলছেন। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় বললেনও সে কথা। তাতে নাদালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘অফ-সিজনে ফোরহ্যান্ডে প্রথম শট আর সার্ভিস নিয়ে প্রচুর খেটেছি। যে কারণে প্রচুর পয়েন্টও এ বার পাচ্ছি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে এমন উন্নতিতে আমি দারুণ খুশি।’’ নাদাল কিন্তু উন্নতির জন্য অনেকটাই কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁর বর্তমান কোচ কার্লোস ময়াকে। বলেছেন, ‘‘আমাদের টিম-ওয়ার্ক অসাধারণ। ও থাকায় চাপ অনেক কমে যায়।’’
নাদাল গ্র্যান্ড স্ল্যামে এই নিয়ে তিরিশ বার সেমিফাইনালে উঠলেন। মেলবোর্নে দ্বিতীয় বাছাই। এখানে এসেছেন একাধিক চোটে ভুগে। অথচ এ বার একটিও সেট হারেননি। সেমিফাইনালে তাঁর সামনে ফেডেরারকে হারিয়ে চমকে দেওয়া চিচিপাস। তাঁকে নিয়ে কী ভাবছেন ১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক? ‘‘গত বছর থেকেই দেখছি গ্রিসের ছেলেটা অসম্ভব উন্নতি করছে। তা ছাড়া এখানে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের (ফেডেরার) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জিতেছে। আজও বাউতিস্তার বিরুদ্ধে দারুণ খেলল। এই ধারাবাহিকতা রাখলে আগামী বহু দিন ও সেরাদের একজন হয়ে থাকতে পারে। তাই আমার কাজ বেশ কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy