নজরে: প্রজ্ঞার সঙ্গে আলোচনায় এখন মা নাগলক্ষ্মীও। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের কাছে হারলেও প্রজ্ঞানন্দ ক্যান্ডিডেট্স প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন করায় উচ্ছ্বসিত তাঁর মা নাগলক্ষ্মী। তিনি বলছেন, ‘এখনও অনেক দূর যেতে’ হবে প্রজ্ঞাকে।
ক্যান্ডিডেট্স প্রতিযোগিতায় ঠিক হবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের চ্যালেঞ্জার কে হবেন। প্রজ্ঞার বিশ্বকাপে স্বপ্নের দৌড় শেষ হয়ে যায় বৃহস্পতিবার আজ়েরবাইজানের বাকুতে কার্লসেনের কাছে টাইব্রেকে হারায়। তবে ফাইনালে ওঠায় ক্যান্ডিডেট্সে নজির গড়ে যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেন তিনি।
প্রজ্ঞার সাফল্যে বিরাট অবদান রয়েছে তাঁর মা নাগলক্ষ্মীর। শুধু প্রজ্ঞার অনুশীলনের দিকে খেয়াল রাখাই নয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব প্রতিযোগিতাতেই তিনি ছেলের সঙ্গে থাকেন। ‘‘আমরা খুব খুশি ও বিশ্বকাপে এত দূর আসায়। তার চেয়েও বেশি খুশি ও ক্যান্ডিডেট্সে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য,’’ বলেছেন তিনি। আরও জানিয়েছেন, বাকু থেকে তাঁরা জার্মানিতে যাচ্ছেন। ভারতে ফিরবেন ৩০ অগস্ট।
শুধু প্রজ্ঞাই নয়, নাগলক্ষ্মীও সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন সমাজমাধ্যমে। প্রজ্ঞাকে যে ভাবে তিনি সর্বক্ষণ আগলে রেখেছেন, ছেলের কৃতিত্বে তাঁর গর্বিত, উদ্ভাসিত মুখের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ছেলের খেলা নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে কখন তাঁকে নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছে খেয়াল করেননি। ‘‘বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল চলাকালীন প্রজ্ঞা কী করবে, সেটা নিয়েই ভেবে যাচ্ছিলাম। পরে দেখলাম আমার কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। জানতামই না কখন ওই ছবিগুলো তোলা হয়েছে।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘খুব কঠিন ছিল কোয়ার্টার ফাইনালটা। ওকে জিততে দেখে খুব গর্ব হচ্ছিল।’’ নাগলক্ষ্মী বলেছেন, তাঁদের পরিবার অভিভূত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ফোন পেয়ে, ‘‘আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে। অভিভূত হয়ে যাওয়ার মতো মুহূর্ত ছিল আমাদের জন্য কারণ তখন অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। তবুও তিনি ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বার করে প্রজ্ঞাকে অভিনন্দন জানান।’’
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকে হারের পরে প্রজ্ঞার প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘এখানে খাওয়াদাওয়া আর ভাল লাগছে না। এ বার দেশের খাবার খেতে চাই। দক্ষিণ ভারতের খাবার খেতে ইচ্ছে করছে।’’
প্রজ্ঞা কিন্তু তাঁর সতীর্থদের নিয়েও উচ্ছ্বসিত, ‘‘ডি গুকেশ, অর্জুন এরিগাইসি, বিদিত গুজরাতির মতো দাবাড়ুরা রয়েছে। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব আমরা। গুকেশ ইতিমধ্যেই ক্রমতালিকায় প্রথম দশে পৌঁছে গিয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি প্রথম দশের মধ্যে ঢুকে পড়ার।’’
প্রজ্ঞার প্রশংসা শোনা গিয়েছে কার্লসেনের মুখেও। বলেছেন, ‘‘ওর মানসিকতা অসাধারণ। ভারতের বেশ কিছু দাবাড়ু এই মুহূর্তে ভাল খেলছে। ধ্রুপদী ম্যাচে ডি গুকেশ খুব ভাল। দাবার ভবিষ্যৎ খুবই সুরক্ষিত। পরের প্রজন্ম এসে গিয়েছে। আমাদের জায়গা নিয়ে নেবে ২০০৩ বা তার পরে জন্ম নেওয়া দাবাড়ুরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy