জয়োল্লাস: শনিবার ইন্দোনেশিয়া ওপেন ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে চেন-কে হারিয়ে হুঙ্কার সিন্ধুর। পিটিআই
রিয়ো অলিম্পিক্সের রুপোজয়ী পি ভি সিন্ধু এই মরসুমের সেরা ব্যাডমিন্টন ম্যাচটা খেললেন শনিবার ইন্দোনেশিয়া ওপেনের সেমিফাইনালে। চমকে দিলেন অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন চিনের চেন ইউ ফেইকে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে ফাইনালে উঠে।
এ দিন জাকার্তায় তিনি ২১-১৯, ২১-১০ ফলে হারিয়েছেন চেনকে। এই মরসুমে জাকার্তাতেই তিনি প্রথম কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালেও উঠলেন। সিন্ধুর বিশ্ব র্যাঙ্কিং এখন পাঁচ। এ’বছর তিনি সিঙ্গাপুর ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। জাকার্তায় তাঁকে ফাইনালে খেলতে হবে টুর্নামেন্টের চতুর্থ বাছাই খেলোয়াড় জাপানের আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে। ভারতীয় তারকা যাঁর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিসংখ্যানে এগিয়ে আছেন ১০-৪ ফলে।
শনিবার সিন্ধুর কাছে পরাজিত চেন কিন্তু অল ইংল্যান্ড ছাড়াও এ’বছর অস্ট্রেলীয় ও সুইস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন। তাই ভারতীয় তারকার এই দাপট নিয়ে জয় যথেষ্ট কৃতিত্বের বলে মনে করছেন ব্যাডমিন্টন বিশ্লেষকেরা।
জাকার্তায় এ দিন প্রথম গেমটা হেরে গেলেও ভালই ছন্দে ছিলেন চেন। কিন্তু সিন্ধু দারুণ ভাবে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত প্রথম গেম জিতে নেন। আর দ্বিতীয় গেমে চিনা প্রতিপক্ষকে তো দাঁড়াতেই দেননি।
এ দিন দু’জনের লড়াই শুরু হয় লম্বা র্যালি দিয়ে। শুরুতেই সিন্ধু ৪-৭ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু তার ঠিক পরেই পাঁচটি টানা পয়েন্ট জিতে নেন। চেন অবশ্য দু’বার খারাপ শট মেরে পয়েন্ট নষ্ট করেন। তার পরেও চেন ভাল লড়াই করে যাচ্ছিলেন। প্রথম ব্রেকের সময় সিন্ধুর শরীর লক্ষ্য করে স্ম্যাশ মেরে ১১-১০ পয়েন্টে এগিয়েও গিয়েছিলেন।
এমনকি ব্রেকের পরেও চেন ভালই খেলছিলেন। একটা সময় তো এগিয়ে যান ১৫-১২ পয়েন্টে। অসাধারণ কিছু স্ম্যাশও মারেন। যার কোনও জবাব দিতে পারেননি সিন্ধু। অবশ্য তার পরে কম যাননি ভারতীয় তারকাও। কম যাননি বলেই দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে শেষ আট পয়েন্টের সাতটিই তিনি তুলে নেন। শুধু তাই নয়, একটা সময় স্কোর করে ফেলেন ১৮-১৮। সেখান থেকে ফল দাঁড়ায় ১৯-১৯। নেটের সামনের একটা রিটার্ন বাইরে মেরে ফেলেন। কিন্তু শেষ দু’টি পয়েন্ট জিততে সিন্ধুর বুদ্ধির কাছে হার মানেন চেন। অসাধারণ লড়াইয়ের সৌজন্যে পুল্লেলা গোপীচন্দের ছাত্রী গেম জেতেন ২১-১৯ ফলে।
দারুণ লড়াই করে প্রথম গেম জেতার পরে সিন্ধু যেন মারাত্মক তেতে গিয়েছিলেন। এই গেমে ভারতীয় তারকা সব চেয়ে বেশি জোর দেন স্ম্যাশের উপরে। ফলও পান। কারণ প্রায় তাঁর সব ক’টি রিটার্নই পড়ছিল কোর্টে। অথচ এই গেমের শুরুতেও চেন ৪-০ এগিয়ে যান। কিন্তু ওই পর্যন্তই। বাকি গেমে চিনা তারকাকে কার্যত দাঁড়াতে দেননি তিনি। একটা সময় টানা সাতটি পয়েন্ট জেতেন সিন্ধু। ভারতীয় তারকার তৈরি করা ক্রমাগত চাপের সামনে ক্রমশ ভেঙে পড়েন চেন। কখনও ব্যাককোর্ট স্ম্যাশ। কখনও র্যালি থেকে অসাধারণ প্লেসিং। এবং নেটে দুরন্ত ড্রপ। সিন্ধুর খেলায় হঠাৎই যেন ফিরে এসেছিল পুরনো ছন্দ। যার কোনও জবাব জানা ছিল না চিনা প্রতিপক্ষের। একটা সময় হতাশ হয়ে সিন্ধুর একটা নির্ভুল রিটার্নের রেফারেল চেয়ে বসেন চেন। ব্যাডমিন্টন বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিকতা ফাইনালেও দেখাতে পারলে, ভারতীয় তারকার ইন্দোনেশিয়া ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। তা ফাইনালে উল্টো দিকের প্রতিপক্ষ ইয়ামাগুচির মতো বড় তারকা হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy