হারলেন সিন্ধু। ফাইল ছবি
ইন্ডিয়া ওপেন ব্যাডমিন্টনে বড় অঘটন। সেমিফাইনালে অখ্যাত খেলোয়াড়ের কাছে হেরে ছিটকে গেলেন পিভি সিন্ধু। প্রথম গেমে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় গেমে ঘুরে দাঁড়ালেও, তৃতীয় গেমে কার্যত আত্মসমর্পণ করে বসেন সিন্ধু। থাইল্যান্ডের সুপানিদা কাটেথংয়ের কাছে ১৪-২১, ২১-১৩, ১-২১ গেমে হারেন সিন্ধু। ভারতের আর এক খেলোয়াড় আকর্ষি কাশ্যপও সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের খেলোয়াড় সুপানিদা কাটেথংয়ের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই কিছুটা চাপে ছিলেন সিন্ধু। প্রথমে একাধিক বার সিন্ধুকে বিপদে ফেলেন। কোনাকুনি শট খেলার চেষ্টা করছিলেন থাইল্যান্ডের খেলোয়াড়। প্রথম গেমে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও পারেননি সিন্ধু। তবে দ্বিতীয় গেমে দেখা যায় সিন্ধুর অভিজ্ঞতার ছাপ। বিপক্ষের খেলোয়াড়কে শুরু থেকে চাপে রেখে সেই গেম বের করে নেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় গেমে আবার একই চিত্র। সুপানিদার জোরালো স্ম্যাশ কিছুতেই ফেরাতে পারছিলেন না সিন্ধু। বিরতিতে ৭-১১ এগিয়ে ছিলেন সুপানিদা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিন্ধু ৯-১৮ পিছিয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ১০-২১ গেমে সেট এবং ম্যাচ হেরে যান।
সিন্ধুর আগেই নেমেছিলেন আকর্ষি। তিনিও থাইল্যান্ডেরই খেলোয়াড় বুসানন ওংবামরুংফানের কাছে ২৪-২৬, ৯-২১ গেমে হেরে যান। তবে ভারতের পক্ষে আশার কথা, পুরুষ সিঙ্গলসের লক্ষ্য সেনের পর পুরুষ ডাবলসে ফাইনালে উঠেছেন চিরাগ শেট্টি-সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি জুটি। তাঁরা ২১-১০, ২১-১৮ জেতেন ফরাসি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
ম্যাচের পর সিন্ধু বলেছেন, “শুরু থেকেই ওকে বড্ড বেশি লিড দিয়েছিলাম। দ্বিতীয় সেটে আমি জিতেছিলাম। কিন্তু তৃতীয় সেটে দু’জনেরই পয়েন্ট একসময় সমান-সমান ছিল। সেখান থেকে আমি ওকে লিড বেশি দিয়ে দিই। ও লিড নেওয়ার পর দু’তিনটে পয়েন্ট কাড়া উচিত ছিল আমার। কিন্তু বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ম্যাচটা বের করে নিয়েছে। সুপানিদা খুবই ভাল খেলোয়াড়। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে একটা প্রতিযোগিতায় ওর বিরুদ্ধে ফেলেছিলাম। ওর স্ট্রোক সত্যি বিপদে ফেলে দেওয়ার মতো। তবে ম্যাচটা আরও বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত ছিল আমার।”
সিন্ধু আরও বলেছেন, “বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের পর প্রস্তুতি ভালই নিয়েছি। কিন্তু আজকের দিনটা আমার ছিল না। এ বার একটাই কাজ, নিজের ভুলত্রুটি দ্রুত শুধরে নেওয়া।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy