ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা পুল্লেলা গোপীচন্দ মনে করেন, বিদেশ থেকে গড়পড়তা কোচ আনলে খেলোয়াড়ের মানও সে রকম হবে। তাই বিদেশ ও ভারতের সেরা কোচদের নিয়ে ব্যাডমিন্টনের উন্নতির কথা ভাবা উচিত। বৃহস্পতিবার অনলাইনে কোচেদের নিয়ে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন গোপী। সেখানে পিভি সিন্ধু, কিদম্বি শ্রীকান্তদের কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় কোচেদের উপরেও আস্থা রাখা উচিত।
গোপীচন্দ বলেছেন, ‘‘আমাদের উন্নতির জন্য বিদেশি কোচেদের প্রয়োজন অবশ্যই আছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে, শুধু বিদেশি কোচ দিয়ে সেরা খেলোয়াড় তৈরি করা সম্ভব নয়।’’ তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন গোপী। বললেন, ‘‘বিদেশি কোনও কোচের যতই অভিজ্ঞতা থাকুক না কেন, তাদের হাতে সেরা খেলোয়াড় তৈরি হবে না। একজন ভারতীয় কোচ যতটা আবেগের সঙ্গে চাইবে আমাদের দেশের কেউ জিতুক, একজন বিদেশি কোচ কিন্তু ততটা চাইবে না। উনি হয়তো ভাববেন, পরবর্তী চুক্তিতে আমি থাকছি কি না!’’ গোপী আরও বলেন, ‘‘বিদেশি কোচেদের থেকে যতটা সম্ভব শিখে নেওয়া উচিত। দেশে যদি বিশ্বমানের কোচ না থাকে তখন তো ওদের সাহায্য নিতেই হবে।’’
গোপী চান, প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়েরা যেন কোচিংয়ের পথ বেছে নেন। প্রয়োজনে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পক্ষেও সায় দিয়েছেন তিনি। গোপীর কথায়, ‘‘আমরা কোনও দিনও শ্রেষ্ঠ বিদেশি কোচ পাব না। গড়পড়তা কোচই আসবে। ভারত থেকে বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষক হিসেবে তৈরি করার যদি কোনও প্রকল্প আনা যায়, তা হলে মন্দ হয় না। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের কোচ হিসেবে সাহায্য করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কোনও এক কোচের প্রশিক্ষণে খেলোয়াড় তৈরি হওয়ার পরে তিনি আর কোচের নির্দেশ মেনে চলেন না। গোপী চান, এটা বন্ধ হোক। বলছেন, ‘‘এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে খেলোয়াড়ের চেয়ে কোচ বেশি প্রাধান্য পাবে। অনেক সময়ই দেখা যায়, কোনও খেলোয়াড় তারকা হয়ে গেলে তখন আর কোচের নির্দেশ মেনে চলে না। বিশ্বমানের কোচ গড়ে তোলা গেলে এই সমস্যা কিছুটা
হলেও মিটবে।’’আরও একটি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন গোপী। যেখানে দেখা যায় ছোটবেলার কোচকে ছেড়ে বেরোতে পারেন না অনেকে। তাঁদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে সাফল্য পেয়েছেন বলে সারা জীবন তাঁদের কাছেই শিখে যেতে চান। গোপী মনে করেন, এই প্রথারও পরিবর্তন প্রয়োজন। বললেন, ‘‘যত উপরের পর্যায়ে খেলবে, ততই উন্নত প্রশিক্ষকের কাছে শিখতে হবে। অনেক কোচ আছেন, যাঁরা খেলোয়াড়কে বড় জায়গায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার অনুমতি দেন না। হয়তো ভাবেন, সেই খেলোয়াড় চলে গেলে তাঁর খ্যাতি কমে যাবে। এই মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে অবিলম্বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy