বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র লিয়োনেল মেসির বাহন এটি। তবে ১২ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের (ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ১১২ কোটিরও বেশি) সেই গাল্ফস্ট্রিম ভি জেটের মালিক নন এল এম টেন। কিন্তু বিশ্বের কোথাও উড়ে যেতে গেলে বিলাসবহুল এই উড়ানটিই ভাড়া করে ব্যবহার করেন মেসি।
শনিবার সকালে মেসির প্রিয় সেই ব্যক্তিগত উড়ান আর্জেন্টিনা থেকে উড়ে আসার পথে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ব্রাসেলস বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ঘটনার সময় বিমানটিতে কে বা কারা ছিলেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিমানটি আর্জেন্টিনা থেকে ব্রাজিল হয়ে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের তেনেরিফে যাচ্ছিল।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ১৬ আসনযুক্ত এই বিমানটি আর্জেন্টিনার সান কার্লোস দে বারিলোচে বিমানবন্দর থেকে আকাশে ওড়ে। পাঁচ ঘণ্টা ৫১ মিনিট যাত্রা করার পরে সেটি ব্রাজিলের রেসিফে শহরের গুয়ারারাপেস বিমানবন্দরে নামে। সেখান থেকে রাতে উড়ে শনিবার সকালে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের জাভেনতেম বিমানবন্দরে এসে নামে বিমানটি। আধঘণ্টা পরেই সেটি ফের আকাশে ওড়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি ব্রাসেলস বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করতে বাধ্য হয়। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বিমানটি ফের আকাশে ওড়ে। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৪৩ মিনিটে ১৩২ মাইল যাওয়ার পরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফের ব্রাসেলস বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
বিমানটি মেসির ব্যক্তিগত না হলেও সাধারণ মানুষের কাছে এটি মেসির বিমান বলেই পরিচিত। আর্জেন্টিনায় তৈরি হওয়া এই বিমানের লেজে মেসির জার্সি নম্বর ১০ বড় করে লেখা রয়েছে। এমনকি এর সিঁড়িতে উপর থেকে নিচে মেসি-সহ তাঁর পরিবারের সদস্য স্ত্রী আন্তেনেল্লা, পুত্র থিয়াগো, সিরো ও মাতিয়োর নাম লেখা রয়েছে। বিমানটির ভিতরে রয়েছে রান্নাঘর ও বাথরুম। এমনকি যাত্রীদের জন্য বিমানের ১৬টি আসন ভাঁজ করে ৮টি শয্যাও তৈরি করা যায়। বিমানটি এর আগে শেষ বার উড়েছিল ২১-২২ মার্চ। আর্জেন্টিনা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে গিয়ে ফিরে যায় বিমানটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy