এ বি ডি অব ক্রিকেট: ক্রিকেটে এমন অলরাউন্ড ব্যাটসম্যান আর দেখা যায়নি। যেমন টেস্ট ক্রিকেটে জেতাতে পারেন তেমন ড্রয়ের খেলা খেলতে পারেন। তেমনই বিধ্বংসী হতে পারেন ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টিতে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে গত বার বিরাট কোহালির দুরন্ত মরসুমের মধ্যেও উজ্জ্বল ছিলেন এ বি। ১৬ ম্যাচে করেছিলেন ৬৮৭ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৮.৭৯। ব্যাট হাতে তিনি খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন যে কোনও সময়। রকমারি সব স্ট্রোক আছে। সুইপ, রিভার্স সুইপের সঙ্গে ধ্রুপদী শটও মারতে পারেন।
ম্যাড ম্যাক্স: সদ্য সমাপ্ত ভারত-অস্ট্রেলিয়া উত্তপ্ত সিরিজে তিনি শিরোনামে ছিলেন। শুধু সেঞ্চুরি করার জন্য নয়, কোহালির কাঁধের চোটকে টিপ্পনি কেটেও। তবে কে অস্বীকার করতে পারবেন টি-টোয়েন্টিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের প্রভাব! স্ট্রাইক রেট ১৫৬। একটা সেঞ্চুরিও আছে। প্রীতি জিন্টার কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব গত বার খুবই খারাপ ফল করেছিল। ম্যাক্সওয়েলও ব্যর্থ হয়েছিলেন। এ বার অধিনায়ক হিসেবে দলের হাল ফেরানোর চ্যালেঞ্জ থাকছে।
মাই নেম ইজ পাঠান: একটা সময় পাঠান ভাই বলতে লোকে বেশি করে বলত ইরফান পাঠানের নাম। এখন পাঠানদের সেই রমরমা নেই। ছোট ভাই ইরফান আইপিএলে বিক্রিই হননি। কিন্তু আছেন ইউসুফ। গত বারও বিরাট কোহালিদের মাঠে গিয়ে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে একা হারিয়েছিলেন আরসিবি-কে। গত বারে ছিলেন নাইটদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার। ব্যাটিং গড়ে ছিলেন শীর্ষে। টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট এখনও দেড়শোর কাছাকাছি। কিংগ খানের বাজিগর হতে পারেন তিনিই।
অমিত বিক্রম: টি-টোয়েন্টিতে লেগ স্পিনার অচল, এই ধারণা যাঁরা বদলে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে খুব উপরের দিকেই থাকবে অমিত মিশ্রের নাম। আইপিএলে তিনটে হ্যাটট্রিকের মালিক। তবে শুধু সে জন্যই নয়, অমিতের সবচেয়ে বড় গুণ হল চাপের মুখে উইকেট তোলার ক্ষমতা। স্লগ ওভারে এসে অনেকবারই ম্যাচ ঘুরিয়েছেন। লেগ ব্রেকের সঙ্গে গুগলিটাও দুর্দান্ত করতে পারেন।
ছক্কার জয়ধ্বনি: পুণে সুপারজায়ান্ট তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে নেতৃত্ব থেকে। শুধু তা-ই নয়, অনেকের মতে বেশ অপমান সহ্য করতে হয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। তা বলে ধোনির ব্যাটিং শক্তিকে হেলাফেলা করার দুঃসাহস মনে হয় না প্রতিপক্ষ বোলাররা দেখাবে! এখনও ক্লিন হিট করতে পারেন তিনি। ছক্কা মারায় অন্য যে কারও সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেন। দু’তিন ওভারের মধ্যে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন এমএসডি।
ওয়ার্নার ওয়ার্নিং: ভারতের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত টেস্ট সিরিজে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না। কিন্তু কে না জানে টি-টোয়েন্টি মঞ্চে একা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের গত বার আইপিএল জয়ের প্রধান নায়ক ছিলেন তিনিই। ১৭ ম্যাচে করেন ৮৫৮ রান। গড় ছিল ৬০.৫৭। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১.৪২। ভয়ডরহীন। সুইচ হিটও মারতে পারেন।
বুম বুম বুমরা: বোলারদের আতঙ্ক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, বল হাতেও গেমচেঞ্জার হওয়া যায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ওপেন ক্যাম্পে তাঁকে দেখে পছন্দ হয় জন রাইটের। তার পর ঢুকে পড়লেন লাসিথ মালিঙ্গার ক্লাসে। ডেথ ওভারে মালিঙ্গার ঢংয়েই ইয়র্কার বর্যণ করেন তিনি। বুম বুম বেকারের সার্ভের মতো।
রানমেশিন রায়না: চেন্নাই সুপার কিংগসের সাফল্যের পিছনে ক্যাপ্টেন কুল ধোনির মস্তিষ্ক থাকলে, ছিল সুরেশ রায়নার দুরন্ত ব্যাটিংও। তিন নম্বরে ব্যাট করতে পারেন, আবার ফিনিশারের ভূমিকাও পালন করে থাকেন। গুজরাত লায়ন্সের হয়ে তাঁর উদ্দীপিত নেতৃত্ব গত বার বড় চমক ছিল। এ বারও দলের সেরা স্তম্ভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy