দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার মাখায়া এনতিনি।
তাঁর দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাতেই এ বার হতে চলেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সেই প্রতিযোগিতার মাহাত্ম্য বোঝাতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার মাখায়া এনতিনি টানলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির নাম।
এনতিনির মতে, বিরাটের মতো ক্রিকেট প্রতিভার প্রথম স্ফুরণ দেখা গিয়েছিল ২০০৮ যুব বিশ্বকাপে। সে বার তাঁর অধিনায়কত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি-র কলামে এনতিনি লেখেন, ‘‘২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়ক ছিল বিরাট। ওর নেতৃত্বেই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এই প্রতিযোগিতাই ১১ বছর আগে বুঝিয়ে দিয়েছিল কোহালি আগামী দিনের তারকা হতে চলেছে।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার বিরাটের সঙ্গে নিজের দেশের কাগিসো রাবাডার নাম উল্লেখের পাশাপাশি যোগ করেন, ‘‘বিরাট ও কাগিসো রাবাডার মতো বর্তমান ক্রিকেটের দুই তারকাই শুরুটা করেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দিয়ে। দু’জনেই তাদের দেশের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করেছে। আজ দেখুন ওরা বিশ্ব ক্রিকেটের কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।’’
এনতিনি আরও লিখেছেন, ‘‘বিরাটদের মতোই বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক বর্তমান তারকাই এই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দিয়ে শুরু করেছে। আগামী দিনে কারা তারকা হতে চলেছে, সেটা বোঝার অন্যতম মঞ্চ হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা।’’
দক্ষিণ আফ্রিকায় এ বারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তার আগে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে এনতিনি লিখেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হল ক্রিকেট। বিশেষ করে, যুব সমাজের কাছে। কাগিসো রাবাডা বা কুইন্টন ডি’ককের মধ্যে ওরা নতুন প্রেরণা ও নায়ককে খুঁজে পায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই তারকা ক্রিকেটাররা হঠাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পায়নি। এরা প্রত্যেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তার পরে ক্রিকেট-উৎকর্ষ বাড়িয়ে পরবর্তীকালে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে। এই সব তারকাদের দেখে যুব ক্রিকেটাররাও বুঝতে পারে, ক্রিকেটার হিসেবে বর্তমানে তারা কোন জায়গায় রয়েছে বা সফল হতে গেলে কোথায় পৌঁছতে লাগবে।’’
এর পরেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এনতিনি লিখেছেন, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই এই প্রতিযোগিতা যুব খেলোয়াড়দের যেমন মানুষ হিসেবে পরিণত করে, তেমনই ক্রিকেটার হিসেবেও পরিচিতি দেয় বিশ্বে। ১৯ বছর বা তার কমে একজন যুব খেলোয়াড় সর্বদা চায়, তার খেলার উন্নতি সকলের চোখে পড়ুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy