লক্ষ্য: ভুল শুধরে সিডনি টেস্টে নামতে চান কামিন্স। ফাইল চিত্র
মেলবোর্নে ভারতের দুরন্ত প্রত্যাঘাত অবাক করেছে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞকেই। কিন্তু তাঁদের মধ্যে প্যাট কামিন্স পড়েন না। অস্ট্রেলীয় পেসার জানিয়ে দিচ্ছেন, ভারত যে পাল্টা লড়াই করবে, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল।
মেলবোর্নে ভারতের কাছে হারের পরের দিন, বুধবার, সাংবাদিকদের কামিন্স বলেছেন, ‘‘একটা দল যদি বিশাল ব্যবধানে হেরে যায়, তা হলে সেই দলটা যে পরের ম্যাচে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এটা প্রত্যাশিত। এই পর্যায়ে যারা খেলে, তাদের সবারই একটা আত্মমর্যাদা থাকে, গর্ব থাকে। তাই আমি ভারতের এই প্রত্যাঘাতে অবাক হইনি।’’
বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন থেকেই ব্যাটে-বলে আধিপত্য দেখিয়েছে ভারত। যা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘মেলবোর্ন টেস্টে ভারতীয়রা বল-ব্যাট, দুটোই দারুণ করেছে। এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে আমাদের পরের টেস্টের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। দেখতে হবে, কী ভাবে এর মোকাবিলা করা যায়।’’
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জাডেজাকে মেলবোর্নে খেলানোর মাস্টারস্ট্রোক ছিল কোচ রবি শাস্ত্রীর
মেলবোর্ন টেস্টে অভিষেক ঘটেছিল ভারতের তরুণ ওপেনার শুভমন গিলের। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে শুভমন আবার কামিন্সেরই সতীর্থ। এই তরুণ ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে নিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘‘প্রথম টেস্টে শুভকে বেশ ভাল লেগেছে। ঠান্ডা মাথার ছেলে। দেখে মনে হল, ও ম্যাচের রাশটা হাতে রাখতে চায়। যে কারণে বোলার হিসেবে ওকে আউট করার সুযোগ পাওয়া যাবে। কোনও দিন সেই সুযোগ কাজে লাগানো যাবে, কোনও দিন যাবে না।’’
আরও পড়ুন: ইডেনে মুস্তাক আলি ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে হাজির সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
আগের বার অস্ট্রেলিয়া সফরে এসে দাপট দেখিয়েছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। এ বার প্রথম দুটি টেস্টে বড় রান পাননি তিনি। চার বারের মধ্যে তিন বারই আউট হয়েছেন কামিন্সের বলে। বিশেষ কোনও পরিকল্পনা কি অস্ট্রেলিয়া করেছে পুজারাকে থামানোর জন্য? কামিন্স বলছেন, না। তাঁর কথায়, ‘‘কেন ও বার বার আমার বলে আউট হচ্ছে, সেটা আমি জানি না। আমি চেষ্টা করি ভাল বল করার। এমন জায়গায় বলটা রাখি, যেখানে ও দোটানায় পড়ে যাবে, খেলবে কী ছাড়বে ভেবে।’’ যোগ করেন, ‘‘আমরা বিশেষ কোনও পরিকল্পনা করিনি পুজারার বিরুদ্ধে। আমাদের লক্ষ্য হল, যেটা করে সাফল্য পাচ্ছি, সেটাই করে যাওয়া।’’
মেলবোর্নে ভারতের কাছে আট উইকেটে হারলেও কামিন্স মনে করেন, তাঁদের বোলাররা খারাপ বল করেননি। অস্ট্রেলীয় পেসার বলেছেন, ‘‘আমাদের চেষ্টা এবং পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম। মেলবোর্নে একটা দলকে তিনশোর আশেপাশে আটকে রাখাটা বড় ব্যাপার। বোলিং গ্রুপের প্রচেষ্টায় খুশি। তবে কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের নজর দিতে হবে।’’
ভারত অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের প্রশংসাও করেছেন কামিন্স। বলেছেন, ‘‘রাহানে খুব ভাল ব্যাট করল। তাই আমাদের দেখতে হবে, অন্য রকম কী করলে ভাল হত। তবে সব মিলিয়ে বলব, পেসাররা এবং অফস্পিনার নেথান লায়ন ভালই করেছে।’’
অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে ভারত বিশ্রী ভাবে হারে। মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে উড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। সিরিজ ১-১ অবস্থায় নতুন বছরের ৭ তারিখ থেকে লড়াই সিডনিতে। যা আবার ২৭ বছর বয়সি কামিন্সের ঘরের মাঠ। সিডনি টেস্ট ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকলেও এখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে এই কেন্দ্রকে। ঘরের মাঠে খেলা নিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘‘এসসিজি-তে খেলতে পারব ভেবে ভাল লাগছে। এই মাঠে আমাদের রেকর্ড বেশ ভাল। পিচটা অনেকটা মেলবোর্নের মতো। একটু শুকনো আর মন্থর হয়।’’ তা হলে কি স্পিনারদের সুবিধে হবে? কামিন্সের কথায়, ‘‘সাধারণত লায়ন এখানে বল ঘোরায়। একটু অন্য ধরনের পিচে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। তার উপরে ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে খেলতে পারব ভেবেও ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy