Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
PK Banerjee

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীর ভুলে বদলে গিয়েছিল নাম, ভারতীয় ফুটবলে জ্বেলেছিলেন প্রদীপ

মানসিক দিক থেকে দারুণ শক্তিশালী ছিলেন পিকে। তিনি যে ভেঙে পড়েছেন, কোনও অবস্থাতেই বহির্জগতের সামনে তা প্রকাশ করতেন না। শেষ না দেখে কখনওই হাল ছাড়তেন না।

শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, কোচ হিসেবেও খ্য়াতির তুঙ্গে উঠেছিলেন পিকে।

শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, কোচ হিসেবেও খ্য়াতির তুঙ্গে উঠেছিলেন পিকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ১৩:৩২
Share: Save:

সাত বছরের ছোট্ট একটা ছেলের পায়ে গোলার মতো শট দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন আশপাশের লোকজন। সেই ছোট্ট ছেলেটার পা থেকে পরবর্তীকালে গোলা আছড়ে পড়েছে কখনও ফ্রান্স, কখনও কোরিয়ার জালে।

তাঁর অনবদ্য ফুটবল স্কিল আর ক্ষুরধার মস্তিষ্কে ভর করে দেশ-বিদেশের মাঠে দাপিয়ে বেরিয়েছে ভারতীয় ফুটবল। শাসন করেছে এশিয়ান গেমস। অলিম্পিক্সের মতো আসরে ফ্রান্সের মতো মহাশক্তিধর দেশের সঙ্গে ড্র করেছে। তিনি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতার তিন প্রধানে খেলার মোহ এড়িয়েও যিনি ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার। কোচ হিসেবে যাঁর ‘পেপ টক’ মন্ত্রশক্তির মতো কাজ করত।

আরও পড়ুন: নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা ময়দানে প্রচলিতই ছিল যে, পিকে-র ভোকাল টনিক সঙ্গে আছে মানেই অর্ধেক ম্যাচ পকেটে!

ফুটবল জীবনে উইংয়ে গতির ঝড় তুলে অনেক গোল করেছেন পিকে। কোচিং জীবনে টাচলাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ‘মাস্টারস্ট্রোক’-এ বের করে এনেছেন বহু কঠিন ম্যাচ। তবে তাঁর জীবনের রাস্তা অবশ্য মোটেও পাপড়ি বিছানো ছিল না।

ছেলেবেলা থেকেই জীবনের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। সেই লড়াইয়ে পাশে পেয়েছিলেন বাবা প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সংসারের তাগিদে কৈশোর পেরনোর আগেই ইন্ডিয়ান কেবল কোম্পানিতে মাসিক ৮৯ টাকার চাকরিতে ঢুকতে হয়েছিল পিকে-কে।

সেটা ১৯৫২ সাল। দেশের সেরা রাইট উইঙ্গারের বয়স তখন মাত্র ১৬। সেই সময়ে বিহারের হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলার ডাক পান তিনি। কিন্তু সন্তোষ ট্রফি খেলতে গেলে যে ছাড়তে হবে চাকরি। কিশোর পিকে পড়লেন মহা বিড়ম্বনায়। পুরো ঘটনা তিনি জানালেন বাবা প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাবার স্বপ্ন ছিল, ছেলেকে বড় ফুটবলার হিসেবে দেখবেন। কিশোর পিকে-র কাছে সব শুনে তিনি নিজেই চলে এলেন ছেলের অফিসে। কর্তাদের কাছে ছুটি মঞ্জুর করার আবেদন করলেন। কিন্তু অফিস যে পিকে-কে ছুটি দিতে নারাজ!

অফিস কিছুতেই রাজি না হওয়ায় প্রভাতবাবু নিজেই পদত্যাগপত্র লিখে সেটি পিকে-র হাতে তুলে দেন। তার পরে ছেলের হাতে পটনা যাওয়ার ট্রেনের টিকিট এবং দশ টাকাও তুলে দেন। স্মৃতিচারণ করে একসময়ে তাঁর বাবা সম্পর্কে পিকে বলেছিলেন, ‘‘যতটুকু খেলেছি তা বাবার জন্যই।’’

আক্ষরিক অর্থেই তা সত্যি। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সে জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন পিকে। সেই সময়ে তাঁর বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত। ছেলের নেতৃত্বের খবর পেয়ে আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেননি শয্যাশায়ী প্রভাত। দুর্বল হাতে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘‘দেশের জন্য সেরাটা তুলে ধরো। তুমি এখন দেশের ক্যাপ্টেন। আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না। রোম থেকে তুমি না ফেরা পর্যন্ত তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করব।’’

বাবার কথায় যেন বিদ্যুৎ খেলে গিয়েছিল পিকে-র শরীরে। মাঠে নেমে তার প্রতিফলনও ঘটান ‘পদ্মশ্রী’। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ লড়ে হারে ভারত। ফুটবল মাঠে ভারতের এই লড়াই দেখে বিস্মিত হয়ে যান সবাই। দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্সের জাল কাঁপিয়েদেশকে এগিয়ে দিয়েছিলেন পিকে। ভারত ও ফ্রান্সের লড়াই ছিল আসলে ডেভিড বনাম গোলিয়াথ-এর। শক্তির দিক থেকে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য অনেক। সেই ম্যাচে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাবে ভারত, তা কি কেউ কোনওদিন ভেবেছিলেন? ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্সের ডিফেন্সিভ থার্ডে বল পান পিকে। চোখ তুলে দেখেন ফরাসি গোলকিপার এগিয়ে এসেছেন। সেই দৃশ্য দেখেই তিনি স্থির করে নেন ফ্রান্সের গোল লক্ষ্য করে শট নেবেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ।

তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট আশ্রয় নেয় ফ্রান্সের জালে। ভারত গোল করার মিনিট দশেকের মধ্যেই সমতা ফেরায় ফ্রান্স। শেষমেশ ম্যাচ ঢলে পড়ে ড্রয়ের কোলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্টদের রুখে দিয়ে বিশ্বমঞ্চে সম্ভ্রম কুড়িয়ে নিয়েছিল ভারত। শেষ ম্যাচে পেরুর কাছে হার মানলেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশে ফেরেন পিকে। কলকাতায় নামার দিন তিনেক বাদে মারা যান প্রভাতবাবু। ছেলেকে দেওয়া কথা রেখেছিলেন বাবা।

রোম অলিম্পিক্স ভারতকে নিয়ে যায় অন্য এক কক্ষপথে। সেই পারফরম্যান্সের প্রতিফলন ঘটে ১৯৬২ সালের জাকার্তা এশিয়ান গেমসে। সোনা ও ভারতের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল দারুণ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া।

ফাইনালের আগের দিন সারা রাত জেগে ছিলেন পিকে। তাঁর রুম মেট চুনী গোস্বামীও বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছিলেন। অস্থির পায়ে দুই তারকা হাঁটতে বেরিয়ে দেখেন জার্নেল সিংহ, অরুণ ঘোষরাও পায়চারি করছেন রাস্তায়।

কিছু ক্ষণ পরেই বলরাম দৌড়ে এসে বলেন, কোচ রহিম সাহেবও জেগে রয়েছেন। রাতেই প্লেয়ারদের নিয়ে ছোটখাটো টিম মিটিংয়ে বসে পড়েন রহিম সাহেব। তাঁর কথায় তেতে ওঠেন ফুটবলাররা।

ফাইনালে রেফারির বাঁশি বাজার পর থেকেই কোরিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে ভারত। চুনী গোস্বামীর কাছ থেকে বল পেয়ে পিকে কোরিয়ার জালে বল জড়ান। জার্নেল সিংহ দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন। কোরিয়াকে ১-২ হারিয়ে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতে ভারত। সোনার পদক গলায় নিয়ে পিকের সেই সময়ে মনে হয়েছিল, এই মুহূর্তটার জন্যই তো ফুটবল খেলা। খুব ছোটবেলা থেকে ফুটবলই তো খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই ভুবনজোড়া স্বীকৃতির শুরু কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে।

১৯৩৬ সালে ময়নাগুড়িতে জন্ম পিকে-র। ছ’বছর বয়সে ময়নাগুড়ি ছেড়ে জামশেদপুরে চলে আসে পিকে-র পরিবার। দুই শহর দু’রকমের চরিত্র। ময়নাগুড়ি শান্ত। সেখানে জীবন অনেক সহজ। তুলনায় জামশেদপুর অনেক কঠিন। পিকে-র জীবনও গড়ায় অন্য খাতে। পরিবারে অর্থকষ্ট ছিল। কিন্তু বল পায়ে মাঠে নামলেই সব ভুলে যেতেন পিকে। ফুটবলার হিসেবে কালক্রমে জামশেদপুরে নাম ছড়াতে শুরু করে কিশোর পিকে-র। তাঁর দুরন্ত গতি, জোরালো শট বাকিদের থেকে পিকে-কে আলাদা করে রেখেছিল। পিকে-র বাবার সেই সময়ে মনে হয়েছিল, খেলাধুলোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছেলের পড়াশোনা। সেই কারণে কলকাতায় পাঠানো হয় পিকে-কে। ‘ফুটবলের মক্কা’য় তাঁর প্রথম ক্লাব এরিয়ান্স। সেখানে খুব একটা সফল হননি। পরে বাঘা সোম তাঁকে নিয়ে আসেন ইস্টার্ন রেলে। ইস্টার্ন রেলে খেলেই দেশজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন পিকে। ১৯৫৮ সালে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টার্ন রেল। তিন প্রধানের বাইরে কলকাতা লিগ জেতার নজির সেই বছরই গড়েছিল ইস্টার্ন রেল।

আরও পড়ুন: ধোনি থেকে বিরাট, আইপিএল না হলে ঠিক কত টাকার ক্ষতি হতে পারে মহাতারকাদের

১৯৫৫ সালে প্রথম বার জাতীয় দলে সুযোগ পান পিকে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্দেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গোল করেন তিনি। সেটাই তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও গোল করেন তিনি। টুর্নামেন্ট পাঁচটি গোল করে নিজের অস্তিত্বের জানান দেন। সেই সফর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল পিকের মনে। পরের বছরই মেলবোর্ন অলিম্পিক্সের দলে নেওয়া হয় তাঁকে। যুগোস্লাভিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে গোলকিপারের সঙ্গে সংঘর্ষে মাঠে সংজ্ঞা হারান। দেশের হয়ে সব ম্যাচ তিনি মাঠে নামতে পারেননি। সে বারের অলিম্পিক্সে ভারত চতুর্থ স্থান পেয়েছিল।

মানসিক দিক থেকে দারুণ শক্তিশালী ছিলেন পিকে। তিনি যে ভেঙে পড়েছেন, কোনও অবস্থাতেই বহির্জগতের সামনে তা প্রকাশ করতেন না। শেষ না দেখে কখনওই হাল ছাড়তেন না। ফেলে আসা দিন নিয়ে বেশি ভাবতেন না।

এ হেন মানুষটার কাছে অন্য ভাবে ধরা দেয় ১৯৬৩ সাল। ক্লাব ফুটবলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকল হজম করতে হয়েছে তাঁকে। বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা মনে করতেন ইস্টার্ন রেলের আক্রমণ ভাগের শেষ কথা পিকে-ই। ফলে তাঁকেই আক্রমণ করা চলত। ডিফেন্ডারদের বিশ্রী ট্যাকলে হাঁটুতে বার বার চোট পেতে হয় তাঁকে। ১৯৬৩ সালে শেষ পর্যন্ত সেই চোটই তাঁকে ছিটকে দেয় মাঠ থেকে। বার বার মাঠে ফেরার চেষ্টা করেও তিনি পুরনো ছন্দে ফিরতে পারেননি। অবশেষে ১৯৬৭ সালে প্রাণের চেয়েও প্রিয় ফুটবল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ৩১। ফুটবল জীবন শেষ হয়ে গেলেও ফুটবল থেকে সরে যেতে পারেননি তিনি। শুরু করেন কোচিং জীবন। ১৯৭২ সালে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে তিনি যেন এলেন, দেখলেন আর জয় করে নিলেন।

১৯৭৫ সালে শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ বিধ্বস্ত করে পিকে-র ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদে কোচ হিসেবে দারুণ সফল হন পিকে। টানা ছ’বার লিগ জেতে ইস্টবেঙ্গল। হেন কোনও টুর্নামেন্ট ছিল না যা তাঁর সময়ে জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

কোচ হিসেবে পিকে-কে মোহনবাগানে নিয়ে আসেন ধীরেন দে। সেই সময়ে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ম্যাচ হেরে কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। পিকে এসে শুরু করে দেন তাঁর বিখ্যাত ভোকাল টনিক।

মোহনবাগান কোচ হিসেবে তাঁর দল রুখে দিয়েছিল ফুটবল সম্রাট পেলের কসমস-কে। সেই ম্যাচে পিকে-র পরিকল্পনা মাঠে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন মহম্মদ হাবিব, গৌতম সরকাররা। কসমসের বিরুদ্ধে খেলার শেষে পিকে-কে উদ্দেশ করে পেলে বলেছিলেন, ‘‘এই লোকটার জন্যই ভারতের ফুটবল ভক্তদের সামনে নিজের স্কিল তুলে ধরতে পারিনি।’’

ম্যান ম্যানেজমেন্টে দক্ষ ছিলেন পিকে। নিজে ছিলেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার। ফলে ছাত্ররা চট করে ঘাঁটাতে সাহস পেতেন না ধুরন্ধর এই কোচকে। গড়পড়তা কোচের মতো তাঁর সঙ্গে ব্যবহার করতেন না কেউ। টিমের ভারী ভারী নামের ফুটবলাররাও সম্ভ্রম করতেন। একেক জন ফুটবলারের সঙ্গে একেক রকম ব্যবহার করতেন পিকে। যা নিয়ে ময়দানে নানা গল্প রয়েছে। একবার চিমা ওকোরি চোট পেয়ে কাতরাচ্ছেন। সারা রাত জেগে থেকে চিমার শুশ্রুষা করছেন পিকে। তার পর থেকে চিমা হয়ে যান পিকে অন্ত প্রাণ। ১৯৭৫ সালের শিল্ড ফাইনালের আগে সুরজিৎ সেনগুপ্ত টাইফয়েডে ভুগছেন। ডার্বির দিন কয়েক আগে সুরজিৎ সেনগুপ্তকে নিজের বাড়িতে এনে রাখেন পিকে। আর মাঠে নেমে প্রথম গোলটাই এসেছিল সুরজিতের পা থেকে।

১৯৯৭ সালের ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনাল আবার অন্য মাত্রায় পৌঁছেছিল। অমল দত্তের কোচিংয়ে সে বার মোহনবাগান ছুটছিল। যে দল সামনে পড়েছিল, সেই দলকেই উড়িয়ে দিচ্ছিল অমল দত্তের ‘ডায়মন্ড সিস্টেম’। সেমিফাইনালের আগে সবাই মোহনবাগানকেই ফেভারিট ধরে নিয়েছিল। ম্যাচের আগে অমল দত্ত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার স্যামি ওমোলোকে ‘ওমলেট’, ভাইচুং ভুটিয়াকে ‘চুমচুম’, সোসোকে ‘শসা’ বলে পিকে-র কাজ সহজ করে দিয়েছিলেন। সে বারের বড় ম্যাচের আগে একটি শব্দও খরচ করেননি পিকে। প্লেয়ারদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে নেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। মাঠে সেটাই হয়েছিল। অমল দত্তের ডায়মন্ড সিস্টেমকে ধ্বংস করেছিলেন ভাইচুংরা।

সবাই তাঁকে প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় নামেই চেনেন। জানেন। তাঁর নাম আসলে ছিল প্রদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী তাঁর নাম নথিভুক্ত করার সময়ে প্রদীপ্তর পরিবর্তে ভুল করে লিখে ফেলেন প্রদীপ। এক সময়ে স্মৃতিচারণে পিকে বলেছিলেন, ‘‘প্রদীপ্ত থেকে আমি হয়ে গিয়েছিলাম প্রদীপ কুমার। আমার নামের থেকে চিরকালের মতো হারিয়ে যায় ‘দীপ্ত’।’’

তাঁর নাম থেকে ‘দীপ্ত’ চলে গেলেও তিনি ‘প্রদীপ’ জ্বালিয়েছিলেন ভারতের ফুটবলে। ৮৩ বছর বয়সে সেই প্রদীপ আজ নিভে গেল।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

অন্য বিষয়গুলি:

Football Footballer PK Banerjee India Football
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy