অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
চোটের জন্য নিজে ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছেন না। তাতে কী কোর্টে প্রতিপক্ষেও দাঁড়াতেই দিচ্ছেন না। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নোভাক জোকোভিচের অবিশ্বাস্য দৌড় অব্যাহত থাকল সেমিফাইনালেও। আমেরিকার টমি পলকে ৭-৫, ৬-১, ৬-২ ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেন ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।
সেমিফাইনালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লড়াই হল। যদিও পল শুধু প্রথম সেটেই কিছুটা লড়াই করলেন। বাকি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সেটে জোকোভিচের একচ্ছত্র দাপট। স্কোর লাইন থেকেই পরিস্কার প্রতিযোগিতার চতুর্থ বাছাইয়ের দাপট। ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের লড়াই খেললেন জোকোভিচ। প্রতিপক্ষকে খেলালেনও তিনি। তৃতীয় সেটে ১-৫ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর একটা মরিয়া চেষ্টা করলেন টমি। জয়ের গন্ধ পেয়ে যাওয়া জোকোভিচের সামনে যে চেষ্টা দাম পেল না। গেমটা প্রতিপক্ষকেই খেলতে দিলেন আত্মবিশ্বাসী জোকোভিচ। সার্ভিস ভাঙার তেমন চেষ্টাও করলেন না। শক্তি জমিয়ে রাখলেন নিজের পরের সার্ভিস গেমের জন্য। পয়েন্ট, গেম, সেট, ম্যাচ— পর পর অনায়াসে জিতে নিলেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর খেলোয়াড়।
বাঁ পায়ের উরুর পেশিতে চোট নিয়েই বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলছেন জোকার। বলা ভাল দাপটে খেলছেন। তাঁর চোট নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের জবাব দিয়েছেন আগেই। তাঁর র্যাকেট জবাব দিচ্ছেন কোর্টের প্রতিপক্ষদের। কোভিড টিকা না নেওয়ায় গত বছর জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে দেওয়া হয়নি। সেই আক্ষেপ এ বার সুদে আসলে পুষিয়ে নিচ্ছেন যেন।
গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনে পায়ের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে খেলেছিলেন রাফায়েল নাদাল। চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন। এ বার জোকোভিচের পায়ে ব্যান্ডেজ দেখে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই সে কথা বলছেন। তিনিও খেতাব থেকে এক ম্যাচ দূরে। চ্যাম্পিয়নরা বোধহয় এমনই হন।
১০ বছরের ছোট টমিকে গোটা কোর্ট দৌড় করালেন জোকোভিচ। সার্বিয়ান তারকা মারলেন ১২টি ‘এস’। জবাবে টমির চারটি। প্রথম সার্ভিসের ক্ষেত্রে জোকোভিচের সাফল্য ৬২ শতাংশ, টমির ৬৫ শতাংশ। প্রথম সার্ভিসে জোকোভিচ ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট জিতলেন। টমি জিতলেন ৫২ শতাংশ পয়েন্ট। ব্রেক পয়েন্ট জেতার ক্ষেত্রেও টমি থেকে অনেক এগিয়ে রইলেন জোকোভিচ।
জোকার অবশ্য পাঁচটি ডাবল ফল্ট করলেন। উরুর চোটের জন্য সার্ভিস করতে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। সেমিফাইনালে জোকারের ‘ফল্ট’ বলতে এই টুকুই। বাকি সব ক্ষেত্রেই সেমিফাইনালে টমিকে পিছনে ফেলেছেন জোকোভিচ। যা ফাইনালে চিন্তায় রাখবে স্তেফানো চিচিপাসকে। শুক্রবারই তৃতীয় বাছাই চিচিপাস ৭-৬ (৭-২), ৬-৪, ৬-৭ (৬-৮), ৬-৩ ব্যবধানে হারিয়েছেন কারেন খাচানভকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy