ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
জাতীয় কুস্তি সংস্থার বিদায়ী সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ রয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁকে জেলে পুরে দিলে কোনও লাভ হবে না। এমনই লেখা হয়েছে দিল্লির আদালতের নির্দেশে। বৃহস্পতিবার ব্রিজভূষণ এবং জাতীয় কুস্তি সংস্থার সহ-সচিব বিনোদ তোমরকে জামিন দিয়েছে দিল্লির আদালত। শুক্রবারই আদালতের নির্দেশ প্রকাশ্যে এসেছে।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হরজিৎ সিংহ জসপাল ন’পাতার রায় দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সব অভিযোগই গুরুত্বপূর্ণ। জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত অভিযোগের কথাই গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ হলেই জামিনের বিরোধিতা করা যায় না। কারণ, যদি কোনও বিচারাধীন বন্দি অনির্দিষ্ট কালের জন্যে কারাগারে বন্দি থাকেন, তা হলে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা (জীবন এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার) লঙ্ঘিত হয়। তাই বিচারক হরজিতের মতে, এই মুহূর্তে অভিযুক্তকে কারাগারে বন্দি করে কোনও লাভ হবে না।
আদালত জানিয়েছে, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে সর্বাধিক সাত বছরের জন্য জেল হবে ব্রিজভূষণ এবং বিনোদের। পাশাপাশি বিচারক হরজিৎ জানিয়েছেন, পুলিশ রিপোর্টেই স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে দুই অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত তদন্তে সহায়তা করেছেন। নিজেদের পদের কোনও রকম অপব্যবহার করার চেষ্টা করেননি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার শুনানি ছিল ব্রিজভূষণের মামলার। সে দিন ৪৮ ঘণ্টার অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এই জামিন পেয়েছিলেন ব্রিজভূষণ। বৃহস্পতিবার আবার মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই শুনানির পর ব্রিজভূষণকে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, ব্রিজভূষণ দেশ ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না এবং অভিযোগকারীদের কোনও রকম হুমকি দিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার কুস্তিকর্তাকে দুপুর আড়াইটেয় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির আদালত। সেই মতো নির্দিষ্ট সময়েই আদালতে গিয়ে পৌঁছন ব্রিজভূষণ। কুস্তিকর্তা হওয়ার পাশাপাশি তিনি বিজেপি সাংসদও। তার ফলে আগে থেকে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। শুনানির শুরুতেই আগাম জামিনের আবেদন করেন ব্রিজভূষণের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, তদন্তের স্বার্থে ব্রিজভূষণ সব রকমের সহযোগিতা করেছেন। কোথাও পালিয়েও যাননি। তাই তাঁকে আগাম জামিন দেওয়া হোক। জামিনের বিরোধিতা করেনি দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তাঁদের আইনজীবী জানান, কয়েকটি শর্ত মানতে হবে ব্রিজভূষণকে। এই সময়ের মধ্যে দিল্লি ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না তিনি। অভিযোগকারী এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাঁদের ভয় দেখানো যাবে না। এই শর্ত মানতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিজভূষণ। তার পরেই দু’দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিলেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy