যন্ত্রণাকাতর নেমার।
লিয়ঁর কাছে ০-১ ব্যবধানে হারল প্যারিস সঁ জঁ। তবে হারার থেকেও বড় ক্ষতি হল পিএসজি-র। নেমারকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হল।
খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে পিএসজি তারকাকে কড়া ট্যাকল করে বসেন থিয়াগো মেন্দেজ। যন্ত্রণাকাতর নেমারকে স্ট্রেচার করে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। কতদিন তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে, চোট কতটা গুরুতর, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। তাঁর চোট কেমন, তা দু-একদিনের মধ্যেই জানতে পারা যাবে।
খেলার ৩৫ মিনিটে লিয়ঁকে এগিয়ে দেন টিনো কাদেওয়ের। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিসএসজি। খেলার শেষের দিকে চাপ বাড়ান নেমাররা। সংযুক্তি সময়ের সাত মিনিটে নেমারকে কড়া ট্যাকল করেন মেন্দেজ। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও নেমারকে মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিবর্তও নামাতে পারেনি পিএসজি। কারণ তাঁর আগেই সব পরিবর্ত করে ফেলেছিল পিএসজি।
বার্সেলোনার জয়
জ্বলে উঠলেন মেসি। গোল করলেন। বার্সেলোনাও জিতল। লা লিগায় কাদিজের কাছে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল বার্সা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্তাসের কাছেও হারতে হয়েছিল বার্সেলোনাকে। ক্রমাগত এই হারের ফলে চাপ বাড়ছিল বার্সার উপরে। সেই অনন্ত চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করলেন মেসি। লিভান্তের বিরুদ্ধে খেলার ৭৬ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন এলএম ১০।
এই ম্যাচ জেতার ফলে ১১ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট বার্সেলোনার। এই ম্যাচে গোল করার ফলে বার্সার ১০ নম্বর হিসেবে মেসির গোলসংখ্যা এখন ৬০০।
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব চাপে ফেলবে না রাহানেকে, বিশ্বাস গাওস্করের
জুভেন্তাসের জয়
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে বার্সেলোনাকে হারিয়ে এসেছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জুভেন্তাস। জোড়া গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। দুটো গোলই তিনি করেছিলেন পেনাল্টি থেকে।
এ বার লিগের খেলায় সিআর ৭-এর জোড়া গোলে জেনোয়াকে ১-৩ গোলে হারাল জুভেন্তাস। দুটো গোলই তিনি করেন পেনাল্টি থেকে।
শেষ ১২ মিনিটে দুটি পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। ওই দুই পেনাল্টি থেকেই গোল করেন রোনাল্ডো। তার ফলে ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি জুভেন্তাসের। এক সময়ে সবাই ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচ ১-১ গোলে হয়তো শেষ হবে। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিল রোনাল্ডোর জোড়া গোল। ৫৭ মিনিটে জুভেন্তাসের হয়ে অপর গোলটি করেন পাওলো দিবালা। তার ৪ মিনিট পরে সমতা ফেরান জেনোয়ার স্টেফানো।৭৮ ও ৮৯ মিনিটে রোনাল্ডোর দুটো পেনাল্টি জেনোয়ার হাত থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে যায়।
আর্সেনালের হার
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বার্নলি'র কাছে ১-০ গোলে হারল আর্সেনাল। ৩৯ বছরের ইতিহাসে লিগে সব চেয়ে খারাপ শুরু তাদের।
বার্নলির বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে ১০ জনে নেমে যায় আর্সেনাল। গ্রানিত জাকাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ৭৩ মিনিটে হেড করে কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন অবামেয়াং। তার পরে গোল শোধ করার চেষ্টা করলেও পারেনি বার্নলি। ১২ ম্যাচে সপ্তম হার আর্সেনালের। তাদের পয়েন্ট ১৩।
লিভারপুলের ড্র
পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে পৌঁছনোর সুযোগ হাতছাড়া করল লিভারপুল! ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়েছিল। এভার্টনের কাছে ০-১ গোলে হার মানে চেলসি। টটেনহ্যাম ও ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়। ফলে ফুলহ্যামকে হারাতে পারলেই লিগের শীর্ষে যেত লিভারপুল। কিন্তু লিভারপুল ও ফুলহ্যামের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়। ২৫ মিনিটে ববি রিডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ফুলহ্যাম। ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান মহম্মদ সালাহ। ম্যাচ ড্র হওয়ায় লিভারপল দ্বিতীয় স্থানে। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৫।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy