হতাশ: দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান পেলেন না বিরাট কোহালি। ১৯ রানের মাথায় ভারত অধিনায়ককে আউট করে উচ্ছ্বাস নিউজ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। গেটি ইমেজেস
ওয়েলিংটনের প্রথম টেস্ট কোন দিকে ঝুঁকবে, তা সম্ভবত ঠিক হয়ে যাবে সোমবারের প্রথম দু’ঘণ্টায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত এখনও ৩৯ রানে পিছিয়ে। ক্রিজে অজিঙ্ক রাহানে এবং হনুমা বিহারী। ট্রেন্ট বোল্টদের সামলে ভারতীয় ইনিংসকে কতটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন এই দু’জন, তার উপরেই অনেকটা নির্ভর করে থাকবে প্রথম টেস্টের ভাগ্য।
ভারতীয় অফস্পিনার আর অশ্বিনেরও একই ধারণা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে অশ্বিন বলেন, ‘‘দেখতে হবে, কাল সকালে বোল্টরা কী করে। সকালে আমাদের একটা সেশন ভাল খেলতেই হবে।’’ নিউজ়িল্যান্ড বোলাররা যে নিশানায় নিখুঁত ছিলেন, তা মানছেন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, ‘‘নিউজ়িল্যান্ড বোলাররা খুব ভাল লেংথে বল করেছে। পিচ প্রথম দিনের মতো না থাকলেও ওরা আমাদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছিল। ওরা ৬৫ ওভার বল করেছে। দেখতে হবে, তৃতীয় দিন সকালে কী করে।’’ দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর চার উইকেটে ১৪৪।
অশ্বিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চতুর্থ ইনিংসে নিউজ়িল্যান্ডের সামনে কত রানের চ্যালেঞ্জ দিলে এই টেস্ট জিততে পারে ভারত? যার জবাবে এই অভিজ্ঞ স্পিনার বলেছেন, ‘‘আমি জানি, আপনারা একটা সংখ্যা জানতে চান আমার কাছ থেকে। কিন্তু এখন কিছু বলারই মানে হয় না। এখনও ছ’টি সেশন বাকি আছে টেস্টের। আমরা এখনও এমন জায়গায় পৌঁছইনি যে বলতে পারব, এত রান হলে জেতা সম্ভব।’’
রবিবার দিনের শুরুটা ভালই হয়েছিল ভারতের। প্রথম বলেই ব্র্যাডলি ওয়াটলিংকে ফিরিয়ে দেন যশপ্রীত বুমরা। কিন্তু নিউজ়িল্যান্ডের শেষের দিককার ব্যাটসম্যানরা দলকে পৌঁছে দেন ৩৪৮ রানে। ওয়ান ডে সিরিজে অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে ভারতের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কাইল জেমিসন। অভিষেক টেস্টেও জেমিসনের ব্যাট বড় সমস্যা তৈরি করে দেয় ভারতের জন্য। ৪৫ বলে ৪৪ রান করে যান এই ছ’ফুট আট ইঞ্চির পেসার। এগারো নম্বরে নেমে বোল্টের সংগ্রহ ২৪ বলে ৩৮। বল করার সময় যেমন ক্রিজের কোণগুলো কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি, ব্যাট করার সময়ও তাই করেছেন। কখনও অফস্টাম্পে, কখনও লেগস্টাম্পে সরে এসে নানা শট খেলেছেন।
ভরসা: অপরাজিত রাহানে-বিহারী জুটির দিকেই তাকিয়ে ভারত।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে পৃথ্বী শ আউট হয়ে গেলেও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ভাল খেলছিলেন। কিন্তু টিম সাউদির লেগস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান। মিডল অর্ডারে ভারতের অন্যতম ভরসা চেতেশ্বর পুজারা এ দিন অত্যন্ত মন্থর গতিতে ব্যাট করেছেন। ১১ রান করতে ৮১ বল নেন তিনি। সব চেয়ে বড় সমস্যা হল, এর পরেও ইনিংসকে টানতে ব্যর্থ পুজারা। বিরাট কোহালি ফিরে যান বোল্টের শর্ট বলের শিকার হয়ে।
পুজারার ও রকম মন্থর ব্যাটিং কি দলের ছন্দ নষ্ট করে দেয়? অশ্বিন কোনও নাম নেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘এটা বোঝা খুব কঠিন যে, কখন আক্রমণ করা দরকার আর কখন রক্ষণাত্মক খেলা উচিত। ব্যাটসম্যানরা মাঝে মাঝেই দোটানায় পড়ে যায়।’’
তবে একটা ব্যাপারে নিজের মত স্পষ্ট জানিয়েছেন অশ্বিন। কেন উইলিয়ামসনের জন্য কী ধরনের ফিল্ডিং সাজানো উচিত, তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন এই অফস্পিনার। অশ্বিন বলেছেন, ‘‘কেনের ওয়াগন হুইল (ব্যাটসম্যান কোথা দিয়ে কত রান করেছেন, তার চার্ট) দেখলে বোঝা যায়, ও কী শট খেলে। আমি হলে শুরু থেকেই ডিপ এক্সট্রা কভার রেখে দিতাম ওর জন্য। অফস্পিনারদের বিরুদ্ধে কেন কভার দিয়ে মারে। কাট বা এগিয়ে এসে শট খেলে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy