কোলের মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে মজে আছেন 'কিং কোহালি'। ছবি টুইটার
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের দেশের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় যতই পুরনো খবর হয়ে যাক, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি কিন্তু এখনও সেই সিরিজ নিয়ে মজে আছেন। স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা সন্তানসম্ভবা হওয়ার জন্য দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন ‘কিং কোহালি’। সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। যদিও বিরাট কিন্তু সেই সব বিতর্ককে পাত্তা না দিয়ে কোলের মেয়ে ভামিকার ডায়াপার বদলানোয় মজে আছেন। আর বরাবরের মত বিরাটে মজে রয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে ক্রিকেট ফিরছে। তাই উচ্ছ্বসিত ভারতীয় দল। অধিনায়ক ও কোচ বিসিসিআই টিভিতে তুলে ধরলেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা।
বিরাট কোহালি: যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার কথা বলেন, তাহলে আমাদের ছেলেরা অনেক যোজন পিছিয়ে। আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করলে, সেখানেও আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা বেশ কাঁচা। এর মধ্যে দলে যোগ হল একাধিক চোট-আঘাত, যা সেই অ্যাডিলেড টেস্ট থেকে ব্রিসবেন পর্যন্ত সঙ্গী ছিল। তবুও আমাদের দল এক মিনিটের জন্যও লড়াই ছাড়েনি। পুরো সফরে সতীর্থদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল। তাই এবার অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় সবচেয়ে সুখের। সবচেয়ে স্পেশাল জয়। এর আগেও আমরা বিদেশে একাধিক টেস্ট সিরিজ জিতেছি, তবে শেষ টেস্ট সিরিজ জয় সবার উপরে থাকবে।
রবি শাস্ত্রী: অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর এক সকালে দলের আলোচনায় ছেলেদের বলেছিলাম, এই ৩৬ রানকে বুকে ‘ব্যাজ’ হিসেবে ব্যবহার করো, যাতে ফের সমস্যায় পড়লে সেই ‘ব্যাজ’ দেখে রক্ত গরম হয়ে ওঠে। দেখবে ভাল সময় আসবেই। তখন শুধু বিপক্ষকে উড়িয়ে দাও।
বিরাট কোহালি: সত্যি কথা বলতে মেলবোর্ন টেস্টের আগে মন বেশ খারাপ ছিল। প্রথম টেস্টের ফলাফল দেখে ঘাবড়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বে আমরা দারুণ প্রত্যাবর্তন করি। টেলিভিশনের পর্দায় ম্যাচ দেখে এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম যে, ঘরে বসেই চিৎকার শুরু করে দিয়েছিলাম। ওদের প্রতিটা উইকেট পড়ার পর আমার চিৎকার শুনে ঘরের কর্মচারীরাও অবাক হয়ে যায়। পরে মনে হয়েছিল, মাঠের মধ্যে বোধ হয় ঘরের থেকে কম চিৎকার করি। আসলে খেলার মধ্যে থাকলে এক রকম বহিঃপ্রকাশ ঘটে, তবে ঘরে থাকলে চাপ আরও বেড়ে যায়। সেটা নিজেও পরে বুঝেছি। তবে এমনিতে ঘরে থাকলে আমি একদম কথা বলি না, চিৎকার তো অনেক দূরের কথা।
বিরাট কোহালি: ক্রিকেটার হিসেবে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যেস আমার আছে। ক্রিজে ব্যাট করার সময় পরিস্থিতির বদল ঘটলে আমার মেজাজ কেমন বদলে যায়, সেটা রবি ভাই জানেন। তাই মেয়ের ডাইপার বদলানো, ঘুম পাড়ানো কিংবা মেয়েকে বড় করার জন্য কিছু শিখতে হলে সেগুলো অবশ্যই শিখতে চাই। কারণ আমি সবসময় ভাল ছাত্র।
বিরাট কোহালি: করোনা আতঙ্কের মধ্যেও সব দেশে ক্রিকেট শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু আমাদের দেশ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দেশেও ক্রিকেট শুরু হবে। সঠিক সময় ফের ক্রিকেট শুরু হয়ে গেল। কারণ, গোটা দেশে কোভিড এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। কেন্দ্রীয় সরকার করোনা দমনে দারুণ কাজ করেছে। জৈব বলয়ের মধ্যে থেকে অনুশীলনে করার সময় স্বস্তিবোধ করি। নিজেদের নিরাপদ ভাবছি। কারণ এখন যে করোনা নিয়ে আর কোনও ভীতি নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগলেও সবাই যে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন এটা দেখেই ভাল লাগে। একজন পেশাদার হিসেবে সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয় হল ঘরের মাঠে ফের খেলছি। তাও আবার দর্শকদের সামনে। গত কয়েক মাস ধরে এটাই চেয়েছিলাম। তাই আমরা উচ্ছ্বসিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy