নীরজ চোপড়া। —ফাইল চিত্র।
অ্যাথলেটিক্সের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। শুধু তিনি নন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ছিলেন আরও দুই ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে কিশোর জেনা এবং ডিপি মানু যথাক্রমে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেন। ২০২১ সালে নীরজ অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের আগে যে খেলার কথা বেশির ভাগ মানুষ জানতেন না, সেই জ্যাভলিনকেই এখন কেরিয়ার করতে চাইছেন অনেকে।
জীবনের অনেকটা সময় পানিপতে কাটিয়েছেন নীরজ। সেখানে অ্যাথলেটিক্স নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ছেলে এবং মেয়েরা জ্যাভলিন থ্রো শিখতে চাইছে। নীরজ এক সময় অনুশীলন করতেন হারিন্দর কুমারের সঙ্গে। তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে চেনেন নীরজকে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নীরজ এবং প্রাক্তন ডিক্যাথলিট হারিন্দর একসঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন। অবসর নেওয়ার পর একটি স্কুলের মাঠে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন হারিন্দর। কিন্তু সেই সময় খুব বেশি ছাত্র ছিল না তাঁর। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ৪৫।
হারিন্দরের ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করেন নীরজও। বিদেশ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম এনে দেন ভারতের সোনাজয়ী অলিম্পিয়ান। সেগুলির সঙ্গে রয়েছে নীরজের অনুপ্রেরণা। একের পর এক প্রতিযোগিতায় নীরজের সাফল্য, অনেককে অনুপ্রাণিত করছে অ্যাথলেটিক্সকে নিজেদের কেরিয়ার করার জন্য। হারিন্দর বলেন, “ভারতে এলেই নীরজ এই মাঠে এসে অনুশীলন করে। ছোটদের সঙ্গে কথা বলে, পরামর্শ দেয়। অ্যাকাডেমিতে আমরা কী ভুল করছি, কি ঠিক করছি, সেটাও বলে দেয় নীরজ। এই উপদেশ আমাদের সকলের জন্যই খুব প্রয়োজনীয়।”
নীরজের সাওল্যের কারণে শিশুদের বাবা-মায়ের চিন্তাভাবনাও বদলেছে বলে জানিয়েছেন হারিন্দর। তিনি বলেন, “২০২১ সালের পর থেকে অভিভাবকদের মানসিকতা বদলেছে। এই গ্রাম থেকে একটা ছেলে যদি হঠাৎ অলিম্পিক্সে সোনা জিতে নেয় এবং এমন একটা কাজ করে যা আগে কেউ কখনও করেনি, তাহলে অবশ্যই সেটা নিয়ে সকলে ভাববে।” বাচ্চারাও মনে করছে নীরজের মতো দেশকে সোনা এনে দিতে পারবে। সেই অনুপ্রেরণা নীরজ দিচ্ছেন। আর অ্যাথলেটিক্সের বিভিন্ন খেলায় মনোযোগ বাড়ছে শিশুদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy