স্বীকৃতি: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার নিচ্ছেন নীরজ চোপড়া ও সুনীল ছেত্রী। শনিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি পিটিআই।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় হিসেবে অ্যাথলেটিক্সে সোনার পদক নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন নীরজ চোপড়া। আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে গোল সংখ্যায় লিয়োনেল মেসিকে পিছনে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভারতের এই দুই বিখ্যাত ক্রীড়াবিদের সঙ্গে দেশকে গর্বিত করা আরও ১০ ক্রীড়াবিদ শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে পেলেন মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন সম্মান। যে তালিকায় রয়েছেন রবি দাহিয়া (কুস্তি), পি আর সৃজেশ (হকি), লাভলিনা বরগোঁহাই (বক্সিং), মিতালি রাজ (ক্রিকেট), মনপ্রীত সিংহ (হকি), প্রমোদ ভগৎ (প্যারা ব্যাডমিন্টন), সুমিত আন্তিল (প্যারা জ্যাভলিন) অবনী লেখারা (প্যারা শুটিং), কৃষ্ণ নাগার (প্যারা ব্যাডমিন্টন) ও মণীশ নরওয়াল (প্যারা শুটার)। মাতৃবিয়োগ হওয়ায় অনুষ্ঠানে যোগ গিতে
পারেননি কৃষ্ণ।
এ ছাড়াও এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয় দেশের ৩৫জন ক্রীড়াবিদকে। যে তালিকায় রয়েছেন বক্সার সিমরনজিৎ কৌর, ক্রিকেটার শিখর ধওয়ন, মহিলা হকি খেলোয়াড় বন্দনা কাটারিয়া, টেনিসের অঙ্কিতা রায়না, হকির রূপিন্দর পাল সিংহ, প্যারা টেবল টেনিস খেলোয়াড় ভাবিনাবেন পটেলরা।
উল্লেখ্য, গত বছর এই পুরস্কার অনলাইনে দেওয়া হয়েছিল। এ বার করোনা সংক্রমণ কিছুটা কম থাকায় ব্যক্তিগত ভাবেই ক্রীড়াবিদদের হাতে সম্মান ও পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে জ্যাভলিনে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘‘দেশের সেরা ক্রীড়া-সম্মান পেয়ে দারুণ লাগছে। এর আগে তিন-চার বার এই সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছি। অবশেষে সেই সম্মান আজ হাতে উঠল।’’ যোগ করেন, ‘‘ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করেছি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসের জন্য। প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিক্স থেকেও ভারতের জন্য সাফল্য আনতে চাই।’’ মিতালি রাজ বলেন, ‘‘এই সম্মান মহিলা ক্রিকেটকে স্বীকৃতি প্রদান করল। এই খেতাব আগামী বছর বিশ্বকাপের আগে ভাল খেলতে প্রেরণা দেবে।’’
প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে এই সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। দেশের সর্বোচ্চ এই ক্রীড়াসম্মান পাওয়ার পরে ৩৭ বছর বয়সি ভারত অধিনায়কের প্রতিক্রিয়া, ‘‘গত ১৯ বছর ধরে ফুটবল খেলার স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান প্রাপ্তি। এই সাফল্যের অন্যতম অংশীদার চিকিৎসক, ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট। কারণ, ওঁরা পাশে না থাকলে দীর্ঘদিন খেলা সম্ভব হত না। অনেক সময়েই মনে হয়েছে, আর খেলা সম্ভব নয়। কিন্তু ওঁরা ঠিক শুশ্রূষা করে আমাকে মাঠে পাঠিয়েছেন।’’ অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিখর ধওয়নের প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রতিভার স্বীকৃতি পেলাম। দেশের হয়ে আরও ভাল খেলার প্রেরণা দেবে এই সম্মান।’’
খেলরত্ন প্রাপকেরা পেলেন পদক ও ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার। অর্জুন পুরস্কারপ্রাপকেরা পেলেন ১৫ লক্ষ টাকা ও ব্রোঞ্জের স্মারক। এ ছাড়াও এ দিন ১০ জন প্রশিক্ষককেও দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy