সানিয়া মির্জার সঙ্গে তাঁর টেনিস অ্যাকাডেমিতে কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। বুধবার। ছবি: ফেসবুক।
এক জন অতীত। এক জন বর্তমান টেনিস তারকা।
এক জন প্রাক্তন বিশ্বসেরা। সিঙ্গলস, ডাবলস দুটোতেই। আর এক জন ডাবলসে বিশ্বের এক নম্বরে উঠে এসেছেন কয়েক মাস আগে। সদ্য উইম্বলডন ডাবলস চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা ও সানিয়া মির্জা।
আর নাভ্রাতিলোভা বলছেন, ডাবলসটা একসঙ্গে খেললে অন্য মার্টিনা, হিঙ্গিসের মতোই তাঁর আর সানিয়ার জুটিও দারুণ জমত! টেনিস কিংবদন্তির কথায়, ‘‘সানিয়া আর আমার টিমও দারুণ হত। সানিয়ার শট নির্বাচন দারুণ। ও জানে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হলে বলটা উল্টো দিকের কোর্টে ঠিক কোথায় রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা সর্বদা ইতিবাচক টেনিস খেলে। ওর মুখ দেখলেই বোঝা যায় ম্যাচে ও জিতছে না হারছে। কারণ সানিয়া কখনও চেষ্টা ছাড়ে না। আর এটা ভীষণ দামী গুণ।’’
সানিয়ার সঙ্গে না খেললেও লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে নাভ্রাতিলোভার মিক্সড ডাবলস জুটি ছিল দারুণ সফল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নাভ্রাতিলোভা মনে করেন, লিয়েন্ডারের সঙ্গে সানিয়ার একটা মৌলিক মিল রয়েছে। সানিয়া আর লিয়েন্ডার দু’জনেই এ বার উইম্বলডনে জিতেছেন অন্য মার্টিনার সঙ্গে। এবং এই মার্টিনা বলছেন, ‘‘লিয়েন্ডার আর সানিয়ার সবচেয়ে বড় মিল দু’জনেই কোনও পরিস্থিতিতেই লড়াই ছাড়ে না। আর এই নাছোড় ব্যাপারটাই ওদের সাফল্যের আসল কথা।’’ এর পর যোগ করেছেন, ‘‘খুব কম খেলোয়াড়ই ধারাবাহিক ভাবে এই চেষ্টাটা করে যেতে পারে। তাই সানিয়া আর লিয়েন্ডারের মধ্যে আমি অনেক মিল খুঁজে পাই।’’
বুধবার হায়দরাবাদে নাভ্রাতিলোভার ‘মাস্টারক্লাসে’ অনুপ্রেরণা পেলেন ভারতীয় টেনিসের উঠতি প্রতিভারা। হায়দরাবাদে সানিয়ার অ্যাকাডেমিতে ডব্লিউটিএ-র এক অনুষ্ঠানে নাভ্রাতিলোভা বলেন, ‘‘বহু বছর টেনিস খেলে একটু-আধটু যা জ্ঞান হয়েছে সেটা এখানে উঠতি টেনিস প্লেয়ারদেরদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে ভাল লাগছে।’’ সানিয়ার অ্যাকাডেমির খুদেদের টেনিস ক্লাসও নেন নাভ্রাতিলোভা। খুদেদের বলেন, ‘‘সেই কাজে নিজেকে নিংড়ে দাও যেটা করতে তুমি ভালবাস। আমি যেমন টেনিসকে ভালবাসি। আর সে জন্যই আজও টিকে আছি।’’
এ দিন মাস্টারক্লাসে এক ঝাঁক খুদের সঙ্গে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৬ ডব্লুটিএ ফিউচার স্টারস ইভেন্ট জয়ী কারমান কাউর থান্ডিও ছিল। নাভ্রাতিলোভা বলেন, ‘‘কারমানরাই মেয়েদের টেনিসের ভবিষ্যৎ। আশা করি এ রকম ইভেন্ট আরও অনেক মেয়েকে টেনিস র্যাকেট তুলে নিতে অনুপ্রেরণা দেবে।’’
অনুষ্ঠানে মেয়েদের ডাবলসে এক নম্বর হওয়ার জন্য ডব্লুটিএ সানিয়াকে নেকলেস উপহার দেয়। সানিয়া বলেন, ‘‘সারা জীবন বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেটা অর্জন করে প্রচণ্ড সম্মানিত। আশা করি এতে ভারতের মেয়েদের এই বিশ্বাসটা জন্মাবে যে, কিছুই অসম্ভব নয়।’’ সঙ্গে সানিয়া আরও যোগ করেন, ‘‘সব কিছু উজাড় করে কিছু চাইলে সেটা পাওয়া সম্ভব। কারমান দেশকে গর্বিত করেছে ফিউচার স্টারস জিতে। এ বছর সিঙ্গাপুরে ফিউচার স্টার ফাইনালে আমি আর এক ভারতীয় চ্যাম্পিয়নকে দেখার আশায় আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy