সদ্য সমাপ্ত জাতীয় গেমসে জিমন্যাস্টিক্সে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিল বাংলা। প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন জয়নগরের মেয়ে প্রণতি দাস। তাঁর হাত ধরে মোট চারটি পদক এসেছিল। দলগত বিভাগে সোনা জয়ের পাশাপাশি ফ্লোর এক্সারসাইজ় এবং আনইভেন বার ইভেন্টেও স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন প্রণতি। অলরাউন্ড বিভাগে একটুর জন্য সোনা হাতছাড়া হয়। মার্চে অনুষ্ঠিত হতে চলা আজারবাইজানের বাকুতে জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপের তালিকায় সেই প্রণতিই ব্রাত্য! যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বঙ্গ জিমন্যাস্ট।
কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে সংবর্ধনা নিতে এসে প্রণতি আনন্দবাজারকে বললেন, “বাংলার হয়ে তিনটি সোনা এবং একটি রুপো আনার পরেও বিশ্বকাপে নাম নেই, এ কথা বিশ্বাস হচ্ছে না। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের জন্য জাতীয় গেমসও একটা মাপকাঠি ছিল। জানি না কোন বঞ্চনার শিকার হলাম।” আরও দুই মহিলা বঙ্গ জিমন্যাস্ট প্রতিষ্ঠা সামন্ত এবং ঋতু দাস সুযোগ পেলেও সর্বাধিক পদক জিতেও কেন প্রণতি তালিকায় নেই, সেই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে।
বিস্ফোরক স্বরে প্রণতির আরও দাবি, “ঋতু ফ্লোর এক্সারসাইজ়ে না নেমেও নির্বাচিত হয়েছে। অথচ সেই ইভেন্টে সোনা জিতেও আমার শিকে ছেঁড়েনি। রাতে বাংলার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থার এক কর্তা জাানলেন, ইতিমধ্যে তিনি জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন। আশা শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে। উদ্যোগী হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গ অলিম্পিক সংস্থাও।
জার্মানিতে ভিসা সমস্যার কারণে যেতে পারেননি বাংলার অন্য দুই মেয়ে প্রতিষ্ঠা এবং ঋতু। দু’জনেই জানিয়েছেন, পদক জিতে হতাশা মেটাতে চান বাকুতে। প্রতিষ্ঠার কথায়, “আমরা অনেক কষ্ট করে অনুশীলন করি। বাকুতে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চাই। প্রথম আটে যোগ্যতা অর্জন করা প্রাথমিক লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণ হলে পদকের দিকে মন দেব।” ঋতু বললেন, “জার্মানির কথা এখন অতীত। বিশ্বকাপই পাখির চোখ। আশা করি পদক জিতে যোগ্য জবাব দিতে পারব।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)